তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:
নতুন বছরে টেলিযোগাযোগ খাতে চালু হবে ফোরজি সেবা। এ ছাড়া আছে অনেক আশার হাতছানি। মোবাইল নম্বর না বদলে নেটওয়ার্ক বদলে গ্রাহকের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টাবিলিটি) চালু, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক চালু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণসহ অনেক প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
শনিবার তারানা বলেন, নতুন বছরে তার প্রধান লক্ষ্য টেলিযোগাযোগ খাতে মানসম্পন্ন গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা। অপারেটরদের সেবার মান যাচাইয়ে এরই মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর সুফল নতুন বছরের শুরুতেই পাওয়া যাবে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, গ্রাহকরা মানসম্পন্ন সেবা পাচ্ছেন কি-না তা নিখুঁতভাবে যাচাইয়ের জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কিনেছে বিটিআরসি। নতুন বছরের শুরুতেই এসব যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হবে। বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সহজে বহনযোগ্য এসব যন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াবেন এবং সেবার মান কতটা রক্ষা করা হচ্ছে, তা যাচাই করবেন। এর ভিত্তিতে কোন অপারেটর কতটা মানসম্পন্ন সেবা দিচ্ছে, এর মূল্যায়নও নিয়মিতভাবে প্রকাশ করবে বিটিআরসি। সেবার মান নিশ্চিত না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে। এমএনপি সেবা নতুন বছরের শুরুতেই চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সেবা চালুর সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এটি চালু হলে গ্রাহকরা নিজের ব্যবহৃত নম্বর না পাল্টিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক বদলের স্বাধীনতা পাবেন। এটা দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বড় মাইলফলক হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, ফোরজি চালু করা নতুন বছরে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সময়োপযোগী করে নতুন জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এটা চূড়ান্ত হলেই যত দ্রুত সম্ভব ফোরজি সেবা চালু করা হবে। ফোরজি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি জানান, ২০১৭ সালেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণ শেষে তা উৎক্ষেপণ করা হবে। স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ ৫০ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে উন্নত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌছে দেওয়ার কাজ চলছে। সরকারের লক্ষ্য, দেশের সব পর্যায়ের মানুষকে উন্নত ডিজিটাল সেবা প্রদান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদায়ী বছরে টেলিযোগাযোগ খাত শৃঙ্খলার মধ্যে আনা সম্ভব হয়েছে। উন্নত সেবা নিশ্চিত করাটাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ।