এমপি লিটনের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে, আটক ১০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনের মরদেহ ঢাকায় আনা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সকাল ১০টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লিটনের ময়নাতদন্ত শুরু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সাংসদের লাশ ঢাকায় আনা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনে তার জানাজা হবে।

গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম সকাল ১০টার দিকে জানান, এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তিনি তাদের নাম বলেননি।

নিহেতের স্বজনরা জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বেলা ১১টার দিকে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল মাঠে লিটনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম নামাজে জানাজার পর হেলিকপ্টারে এমপি লিটনের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে সোমবার সুন্দরগঞ্জে তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

এদিকে লিটন হত্যার প্রতিবাদে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আজ রোববার সকাল থেকে হরতাল চলছে। বামনডাঙা স্টেশনে সান্তাহারগামী একটি ট্রেন সকাল সাড়ে আটটা থেকে আটকে রেখেছে সাংসদের সমর্থকেরা। সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া গাইবান্ধা সদরের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

বামনডাঙা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নাদিম হোসেন জানান, সাংসদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত হরতাল চলবে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের সাহাবাজ গ্রামে ঘরে ঢুকে সাংসদ মনজুরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ ঘটনায় জামায়াত অথবা উগ্রপন্থীদের সন্দেহ করছে।