আমি হার মানবো না : পরীমণি

একাত্তরলাইভ ডেস্ক : ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলায় প্রধান আসামি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন দেশের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

পরীমণি বলেন, “এত দ্রুতই প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন ভরসা পাচ্ছি। নিশ্চিন্ত হলাম। বাঁচতে পারব। বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।”

এদিকে মঙ্গলবার (১৫ জুন) ভোর পৌনে ৫টায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকরী বাহিনী, সাংবাদিকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন পরীমণি। সেই পোস্টে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান এই জনপ্রিয় নায়িকা।

নিচে পরীমণির ফেসবুক পোস্টটি তুলে দেওয়া হল—

রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টায় ফেসবুকে নাম প্রকাশ না করে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। এসময় তিনি নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য প্রার্থনা করেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই রাতেই পরীমনি নিজের বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন গণমাধ্যমের সামনে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পরী বলেন, “গেল বুধবার (৯ জুন) রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও পরীর পোশাক ডিজাইনার জিমির সঙ্গে বাইরে বের হয়েছিলেন। রাত ১২টার দিকে অমি তাদের নিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীর পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরে অমি সেখানে থাকা নাছির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। সে সময় নাছির উদ্দিন মাহমুদ নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে তিনি আমাকে মদ খেতে অফার করেন। আমি রাজি না হলে আমাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমাকে চড় থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা করেন।”

ঘটনার পরপরই বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন পরীমনি। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় পুলিশের সাহায্যে পরীমনি হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েও আতঙ্কবশত চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান বলে জানান।