আকর্ষণীয় প্যাকেজে গ্রাহক টানছে টেলিটক

জেনাকি, বর্ণমালা, আগামী, একুশ- এমন মনকাড়া বাংলা নামে আকর্ষণীয় প্যাকেজ নিয়ে গ্রাহক টানছে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক। বাংলা নামে বাঙালির আকর্ষণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সাশ্রয়ী ভয়েস কল ও ডাটা সার্ভিস, সহজলভ্য টপআপ ও রিচার্জ কার্ড প্রাপ্তিসহ সেবার মান বৃদ্ধির নানান পদক্ষেপের কারণে গ্রাহক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে এই অপারেটর।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের নানা উদ্যোগের মুখে এই অপারেটরটি এখন উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে, সার্ভিসে সন্তোষ প্রকাশ করছেন গ্রাহকরাও, সামনের দিনগুলোতে বেসরকারি অপারেটরগুলোর সাথে প্রতিযোগিতাতেও অবতীর্ণ হওয়ার স্বপ্ন টেলিটকের।

আকর্ষণীয় নামে প্যাকেজ চালু ও সস্তা রেট হওয়ায় তরুণ গ্রাহকদের মধ্যে টেলিটক সংযোগ ব্যবহার করছে বেশি। সর্বনিম্ন প্যাকেজে ভয়েস ও ডাটা সার্ভিসে মিলছে টেলিটকের সেবা।

টেলিটকের ভয়েস কলে প্যাকেজের সংখ্যা ১৯টি।

ভয়েস কলে টুজি প্রি-পেইড প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে- ইয়ুথ, আগামী, একুশ, বিজয়, স্বাধীন, স্ট্যান্ডার্ড ও শাপলা। থিজি প্রি-পেইড প্যাকেজের মধ্যে ইয়ুথ, আগামী, একুশ, বিজয়, স্বাধীন ছাড়াও রয়েছে টেলিটক প্রজন্ম। টুজি ও থ্রিজি প্যাকেজে মিলবে বর্ণমালা প্যাকেজ। টুজি পোস্ট পেইড প্যাকেজগুলো হলো: রজনীগন্ধা ও শাপলা। থ্রিজি পোস্ট গ্রাভিটি ও শাপলা। এছাড়াও রয়েছে একটি করপোরেট প্যাকেজ।

সাতটি ডাটা প্যাকেজও রয়েছে টেলিটকের। থ্রিজি প্রি-পেইড ডাটা প্যাকেজ: ক্লাসিক, সুপার ও লো-কস্ট। রয়েছে থ্রিজি পোস্ট পেইড প্যাকেজ। টুজি প্রি-পেইড প্যাকেজ, টুজি পোস্ট পেইড প্যাকেজ, করপোরেট প্যাকেজ।

এছাড়াও করপোরেট সার্ভিসের জন্য ভয়েস ও ডাটা ছাড়াও অন্যান্য সুবিধা।

রয়েছে বিভিন্ন ভ্যাস (ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস), টেলিটিউন ছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং, পল্লী চার্জ ও বাল্ক এসএমএস, মোবাইল টিভিসহ নানা সার্ভিস।

টেলিটকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (http://www.teletalk.com.bd) ছাড়াও এসব তথ্য পাওয়া যাবে কোম্পানির ফেসবুক পেজে (https://www.facebook.com/yourTELETALK)।

বিভিন্ন প্যাকেজ চালু, রিটেইলারের মাধ্যমে প্রোডাক্ট বৃদ্ধি, কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোর মান বৃদ্ধি ও সেন্টারের কর্মীদের প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে টেলিটক এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

আগামী মাসে রি-ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে এই অপারেটরটিকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার আশা করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ক্রমাগত নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য আরও অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আমরাই প্রথম প্রত্যন্ত এলাকায় নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিয়ে এসেছি, আমাদের অনুসরণ করছে অন্যরাও।

বিটিআরসি’র সর্বশেষ ডিসেম্বরের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে ছয়টি অপারেটরের মোট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার, বাংলালিংকের ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৫ হাজার, রবি’র ২ কোটি ৮৩ লাখ ১৭ হাজার, এয়ারটেলের ১ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ও সিটিসেলের ১০ লাখ ৭ হাজার।

গত ছয় মাসে টেলিটকের গ্রাহক বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত দেখা গেছে। ডিসেম্বরে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৪১ লাখ ৪৩ হাজার, নভেম্বরের ৪০ লাখ ৫৭ হাজার, অক্টোবরে ৪১ লাখ ৪১ হাজার, সেপ্টেম্বরে ৪১ লাখ ৮ হাজার, আগস্টে ৪০ লাখ ৭৯ হাজার, জুলাই মাসে ছিল ৪২ লাখ ২১ হাজার।

এদিকে বিটিআরসি’র সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসের হিসেবে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার। এরমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৩ হাজার। টেলিটকের সাশ্রয়ী রেটের ইন্টারনেট প্যাকেজ থাকছে গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে।