একাত্তরলাইভ ডেস্ক: বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে ৭ দিনের মধ্যে সম্প্রচার আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহিলা দল আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েসী রায় প্রত্যাহারের দাবি উপলক্ষে’ এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এই হামলা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা সকলেই এই নিন্দা করেছি। এখনও করছি। আর এই ঘটনা বাংলাদেশের কোন মানুষ সহজভাবে নিতে পারে না। এটা অনেকটা জাতীয় ট্র্যাজেডি বলা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে কোন স্বাক্ষী বলেন নাই যে, এ সাথে বিএনপি ও তারেক রহমান জড়িত। কিন্তু শুধু মাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার এই মামলার তারেক রহমানকে জড়িয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এটি একটি ফরমায়েসি রায়। এই রায় দেশের জনগণ মানে নাই। কারণ এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোন স্বাক্ষীর বক্তব্য তারা উত্থাপন করেন নাই।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরিয়ে আসবেন। ওই সময় তিনি আপিল করবেন। আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। আর এই হাইকোর্টে প্রমাণ করবেন, তার বিরুদ্ধে রায় একটি অচল রায়। এই রায়টা তখন কার্যকর হবে না। আর হাইকোর্ট তাকে নির্দোষ বলে খালাস দিবেন। এই বিশ্বাস আমরা রাখি।’
‘গ্রেনেড হামলা মামলার মূল বিষয়কে দূরে সরিয়ে দিয়ে শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারণে সরকার মামলার রায়কে অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারের পরিবর্তন আনা হবে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে সরকারকে বাধ্য করা হবে সংলাপে বসতে। সরকারকে বাধ্য করা হবে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন করতে।’
তিনি বলেন, ‘আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সমাবেশ- কিন্তু আমাদের যদি সমাবেশ করতে দেওয়া হতো তাহলে এর চেয়ে ২০ গুন বেশি সমাগম হতো এবং মিছিল হতো। জাতীয় পার্টি, চরমোনাই পীর সাহেবকে অনুমতি দেওয়া হয়। আর বিএনপি সভা করতে চায়, কিন্তু দেওয়া হয় না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।