৪৬ বছরে পদার্পন উদযাপন করবে আইডিইবি

একাত্তরলাইভডেস্ক: আগামী ৮ নভেম্বর ৪৬ বছরে পদার্পন করতে যাচ্ছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)। প্রতিষ্ঠানটির ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস-২০১৬ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। কর্মসূচির প্রথমদিন মঙ্গলবার সারাদেশে সমাবেশ, আলোচনা সভা ও র্যা লি অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ভবিষ্যৎ কর্মবাজারের চাহিদা বিবেচনায় দেশে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আইডিইবি বলেছে, গণপ্রকৌশল দিবসের অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানো হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ১০ নভেম্বর মহিলা ও পরিবার কল্যাণ পরিষদ-এর পারিবারিক সম্মিলন ও রক্তদান কর্মসূচি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর। ১৩ নভেম্বর মূল প্রতিপাদ্য ‘স্কিল ফর ফিউচার ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ নভেম্বর ‘দক্ষ বাংলাদেশ গড়তে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব’ বিষয়ক আলোচনায় প্রধান অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি কর্মসূচির সমাপনী ঘোষণা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান ভবিষ্যৎ কর্মবাজারের নিরিখে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নে নয়টি সুপারিশ তুলে ধরেন। এগুলো হলো- সকল শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞান ও দক্ষতা ভিত্তিক কারিক্যুলাম প্রবর্তন, প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে নূন্যতম একটি এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে ৩টি কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ, পর্যায়ক্রমে শিক্ষাকে ভোকেশনালাইজড করা, সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে জ্ঞান ও দক্ষতা ভিক্তিক পূনর্গঠনসহ বিশ্বমানের শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা, দেশে আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও বৈশ্বিক চাহিদার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার ৫০ থেকে ৬০ ভাগে উন্নীত ও মধ্যম স্তরের কারিগরি শিক্ষাকে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগে উন্নীত করা, কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পেশাগত চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ এবং শ্রমনিষ্ঠ মানুষের মর্যাদা ও পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা।