২৮০০ কোটি টাকা জমা দিলে জামিন

একাত্তরলাইভডেস্ক: ডেসটিনি গ্রুপের ট্রি প্ল্যানটেশনের আওতায় থাকা ৩৫ লাখ গাছ ৬ সপ্তাহের মধ্যে বিক্রির আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেন, ৩৫ লাখ গাছ বিক্রির ২৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। টাকা পাওয়ার পর ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনকে আপিল বিভাগ জামিন দেবেন বলে আদেশে বলা হয়। তবে গাছ বিক্রি করে যদি ২৮০০ কোটি টাকা না হয় তাহলে কমপেক্ষ ২৫০০ কোটি টাকা সরকারকে দিলেই ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডির জামিন মিলবে।দূর্নীতি দমন কমিশন এই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বণ্টন করবে বলে আদেশে বলা হয়। এর আগে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ডেসটিনির আইনজীবীর কাছে জানতে চান ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশনের আওতায় যে ৩৫ লাখ গাছ আছে তার মূল্য কত হবে ? আইনজীবী আদালতকে জানান, গাছের আনুমানিক দাম ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা হবে।গত ২০ জুলাই বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শর্তাসাপেক্ষে ডেসটিনির রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসাইনকে জামিন দেন। শর্তের মধ্যে ছিলো সংশ্লিষ্ট থানায় পাসপোর্ট জমা দিতে হবে ও বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই জামিন স্থগিত করে দেন। ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ থেকে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেশন (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্য থেকে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাঁচারের অভিযোগে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।