২৭০ কেন ম্যাজিক সংখ্যা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭০ হলো ম্যাজিক সংখ্যা। এ সংখ্যা অর্জন করতে পারা না পারার ওপর নির্ভর প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ভাগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট হতে গেলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট পেতে হয়। এর একটি কম হলেও প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব নয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে এ সংখ্যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের কাজ হলো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। তার পরের কাজ ইলেক্টরদের। প্রতিটি রাজ্যে এবং রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ভোটাররা ভোট দেওয়ার পর সেখানকার ইলেক্টররা বিজয়ী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকেন। আরো একটু ভেঙে বললে, প্রথমে প্রতিটি রাজ্যে সাধারণ ভোটাররা ভোট দেন। ভোটারদের ভোটে যে প্রার্থী জয়ী হন, তিনি ওই রাজ্যের সব ইলেক্টরের ভোট পান। যেমন- নিউ ইয়র্কের ভোটারদের ভোট গুণে দেখা গেল হিলারি ক্লিনটন জিতেছেন। হিলারি পেয়েছেন ৫৫ শতাংশ ভোট, আর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট। সাধারণ ভোটে হিলারি জয়ী। এখন এ রাজ্যে ইলেক্টরাল ভোট রয়েছে ২৯টি। এর সবগুলোই হিলারি পাবেন। ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েও ট্রাম্প একটিও ইলেক্টরাল ভোট পাবেন না। অর্থাৎ বিজয়ী প্রার্থীই সব ইলেক্টরাল ভোট পাবেন। এখন দেখা যাক, ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোটে জয়ের কারণ কী? যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫০ রাজ্য মিলে ইলেক্টরাল ভোট রয়েছে ৫৩৮টি। কীভাবে এল এই ৫৩৮? যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ৪৩৫ জন। আর সিনেটে সদস্য ১০০ জন। এই দুইয়ে মোট হলো ৫৩৫ জন। রাজ্য না হয়েও রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি বিশেষ মর্যাদায় ৩টি ইলেক্টরাল কলেজ ভোট দেওয়ার ক্ষমতা পেয়েছে। সব মিলে হলো ৫৩৮। এই ৫৩৮-এর অর্ধেক ২৬৯। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে গেলে অর্ধেকের বেশি ইলেক্টরাল ভোট পেতে হবে, হোক সে একটি ভোট। সে হিসাবে ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট পেলেই কোনো প্রার্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে একটি ম্যাজিক ফিগার ২৭০।