একাত্তরলাইভডেস্ক: ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ডিমের চাহিদা পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ।মন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদনে এবং দুধ উৎপাদনে দেশ অনেক এগিয়েছে। ডিমের ক্ষেত্রে কিছুটা ঘাটতি আছে। তবে ২০২১ সালের ম্যধ্যে এ ঘাটতি আর থাকবে না। ডিম শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে ইতোমধ্যে ডিম আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।তিনি বলেন, ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৮৫ ভাগ লোকের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসেবে মাথাপিছু ২টি করে ডিমের চাহিদা মেটাতে সপ্তাহে প্রয়োজন ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ৪৪ লাখ ডিম। আশা করছি এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্জন হবে।ছায়েদুল হক বলেন, বর্তমান সরকার দেশে চালের বিপ্লব ঘটিয়েছে। চাল উৎপাদনে দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে দেশ পুষ্টিজাত খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।বিপিআইসিসির আহ্বায়ক মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রিয়া মোহন দাস, ড. সুবাস চন্দ্র দাস প্রমুখ।এর আগে দিবসটি উপলক্ষে একটি র্যালি করে সংগঠনটি। র্যালিটি সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে মৎস্য ভবন ঘুরে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ যদি থাকতে চান, প্রতিদিন ডিম খান’।
‘২০২১ সালের মধ্যে ডিমের চাহিদা পূরণ হবে’

October 14, 2016