১৭৩ মেট্রিক টন গম নিয়ে বিপাকে খাদ্য বিভাগ

একাত্তরলাইভডেস্ক: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা খাদ্য গুদামে ৮ মাস ধরে পড়ে থাকা ১৭৩ মেট্রিক টন গম নিয়ে বিপাকে পড়েছে খাদ্য বিভাগ।এ উপজেলায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু না থাকা এবং নতুন কোনো প্রকল্প না থাকায় মজুদকৃত গম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে সময় যতো গড়াচ্ছে গমের মানও  ততো খারাপ হচ্ছে। একমাসের মধ্যে ব্যবহার করা না হলে এ গম খাবার অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে।খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৩০০ মেট্রিক টন গম খাদ্য গুদামে মজুদ করা হয়। এর  মধ্যে ১২৭ মেট্রিক টন টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করা হয়। বাকি ১৭৩ মেট্রিক টন এভাবে অলস পড়ে থাকে গুদামে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এখনই গমের মান মাঝামাঝি পর্যায় চলে এসেছে। আর একমাস পর এ গম আর কোনো কাজে আসবে না জানায় খাদ্য বিভাগ।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহিদুল হক জানান, শরণখোলা উপজেলায় নতুন কোনো খাত না থাকায় গম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। জেলার আটা বিক্রয়কারী ওএমএস ডিলারদেরকে গম কেনার জন্য বহুবার অনুরোধ করা হলেও খরচ বেশি পড়ার কারণে তারাও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।বাগেরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি-ফুড) মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, শরণখোলায় বিতরণের কোনো খাত না থাকায় এবং টিআর, কাবিখা প্রকল্পে এখন টাকা দেওয়ার কারণে গমগুলো পড়ে আছে। শিগগিরই ৫০ মেট্রিক টন গম জেলা ওএমএস ডিলারদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।