একাত্তরলাইভডেস্ক: ৭ বছর বয়সে যেখানে অনেকের গুন-ভাগ শিখতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে এ বয়সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন সুষমা ভার্মা। সবচেয়ে কম বয়সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করার রেকর্ড এখন তার। ভারতের লখনৌয়ের এই কিশোরী ১৩ বছর বয়সে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, ১৫ বছর বয়সে মাস্টার্স। তাও আবার সেমিস্টারে গড়ে সিজিপিএ গ্রেড পয়েন্ট ৮ পেয়ে! সুষমার জীবনকাহিনি আরো বেশি হৃদয়গ্রাহী কারণ যে কলেজ থেকে তিনি গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন, তার পিতা সেই কলেজেরই পরিচ্ছন্ন কর্মী। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুষমা বলেন, তিনি কঠিন আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তার পড়ালেখা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা আর্থিক সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদও জানান। ভালো রেজাল্ট এবং পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ দেখে সুষমাকে উচ্চশিক্ষার জন্য ৮ লাখ রুপি অনুদান দিয়েছিলেন সেখানকার এক এনজিও প্রধান ড. বিন্দেশ্বর পাঠক। কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম ৩টি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া সুষমা সেসময় জাপানের একটি আইকিউ টেস্ট প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, সেই প্রতিযোগিতায় ৩৫ জনকে টপকে প্রথম হন তিনি। অর্থাৎ বয়সের তুলনায় তার অর্জন অনেক বেশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অল্প বয়সী হওয়াটাই তার স্বপ্নপূরণের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অদম্য মেধাবী সুষমার স্বপ্ন, চিকিৎসক হবেন। কিন্তু ১৭ বছর বয়স না হওয়ায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। তার বয়স এখন ১৫। যে কারণে আগামী দুই বছর বসে না থেকে কাজে লাগানোর জন্য সুষমা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সুষমা বলেন, ‘এক জন মানুষকে সবসময়ই তার প্রতিভা ও সম্ভাব্যতা দিয়ে বিচার করা উচিত, বয়স দিয়ে নয়। আমি ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম কিন্তু এর জন্য এখন ১৭ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে, যা খুবই হতাশাজনক।’
১৫ বছর বয়সে মাস্টার্স
November 11, 2016