১৫ উইকেটের দিনে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

ক্রীড়া ডেস্ক : ২০১১, কেপ টাউনে ৪৭ রানে অলআউট। ২০১৫, ট্রেন্ট ব্রিজে ৬০ রানে অলআউট। ২০১৬, হোবার্টে ৮৫ রানে অলআউট। স্কোরগুলো কোন দলের জানেন? অস্ট্রেলিয়া! বেলেরিন ওভালে আজ শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৩২.৫ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। বলের হিসাবে ১৯৭টি! জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সফরকারীরা দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ১৭১ রানে। টেম্বা বাভুমা ৩৮ ও কুইন্টন ডি কক ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। ১৫ উইকেট পতনের প্রথম দিন শেষে প্রোটিয়ারা এগিয়ে আছে ৮৬ রানে। অস্ট্রেলিয়াকে দেড় সেশনেই অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়েছিল। ১৮ ওভারে বিনা ৪৩ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার স্টিফেন কুক ও ডিন এলগার। কিন্তু এরপর মাত্র ১৬ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা। ১৯তম ওভারের প্রথম ও পঞ্চম বলে দুই ওপেনার কুক ও এলগারকে ফিরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে এলগার করেন ১৭ রান। পিটার নেভিলকে ক্যাচ দেওয়া কুকের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। নিজের পরের ওভারে এসে আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান জেপি ডুমিনিকেও (১) সাজঘরের পথ দেখান স্টার্ক। বিনা উইকেটে ৪৩ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৪৬! চতুর্থ উইকেটে হাশিম আমলা ও ফাফ ডু প্লেসিস মিলে দলকে ৭৬ পর্যন্ত টেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু প্লেসিসকে ফিরিয়ে ৩০ রানের জুটি ভাঙেন আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউড। পঞ্চম উইকেটে বাভুমাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে ওই হ্যাজেলউডের বলেই নেভিলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আমলা। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটিতে দিনের বাকি সময়টা নিরাপদেই কাটিয়ে দেন বাভুমা ও ডি কক। এর আগে সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ৮ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। খানিক বাদে সেটি দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭, টেস্টের প্রথম ইনিংসে এত কম রানে কখনোই প্রথম ৫ উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া! ২০১৫ অ্যাশেজ সিরিজে ট্রেন্ট ব্রিজে তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ৫ উইকেট হারিয়েছিল ২১ রানে। আরেকটু পর অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩১/৬! যেটি কিনা ঘরের মাঠে টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বাজে শুরু। এর আগে ১৯৭৮ সালে গ্যাবায় তারা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ২৬ রানে। ওই ৬ উইকেটেই ৪৩ রান নিয়ে লাঞ্চে যেতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু লাঞ্চের পর আর ৭ ওভারও টিকেনি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস! ২৬ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা অলআউট ৮৫ রানে! ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ৩২.৫ ওভার। বলের হিসাবে ১৯৭টি! অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে অর্ধেকেরও বেশি রান এসেছে স্টিভেন স্মিথের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন আর মাত্র একজন- জো মেনি (১০)। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জো বার্নসের সম্মিলিত রান ২!  অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ভারনন ফিল্যান্ডার। তিনি ১০.১ ওভারে ২১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দলে ফেরা আরেক পেসার কাইল অ্যাবট ৪১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট জমা পড়েছে কাগিসো রাবাদার ঝুলিতে।