১৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু

অনলাইন ডেস্ক: আগামী ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। ইতোমধ্যে সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ ভিসা-প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অতীতে রমজান মাস শেষে ঈদের পরপর এসব কাজ শুরু হতো। তবে এবার রোজার শুরুতেই এসব কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাজাহান কামাল বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার জন। নির্দিষ্ট আকার ও জাতীয় পতাকাখচিত পলিব্যাগ ও কিটব্যাগ হজযাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় কিনতে হবে।
সৌদি আরব সরকার এবার হজযাত্রীদের জন্য ই-ভিসা চালু করায় ভিসা পাসপোর্টের সঙ্গে লাগানো থাকবে না। কাগজে প্রিন্ট করে দেবে। ফলে হজযাত্রীদের এটি আলাদা সংরক্ষণ করতে হবে। আগে পাসপোর্টের সঙ্গে ভিসা লাগানো থাকতো বলে আলাদা করে ভিসা সংরক্ষণের প্রয়োজন হতো না। এবার ই-ভিসা ও পাসপোর্ট বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাউন্টারে দেখাতে হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল মারার পর তা যতœ করে রাখতে হবে।
হজের ওয়েবসাইটে www.hajj.gov.bd হজযাত্রী অনুসন্ধান বাটনে ১০ সংখ্যার ট্র্যাকিং নম্বর যেমন- N11709 F1 E2 C অথবা পাসপোর্ট নম্বর যেমন- বিএফ ০০১৪৮২২ লিখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসাসহ অন্যান্য তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে সেখানে দেখা যাবে ব্যক্তির দলভুক্ত কারা আছেন। এসব তথ্য দেখলে ব্যক্তি বুঝতে পারবেন তার ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে এজেন্সির দেয়া তথ্যের মিল আছে কি না।
সরকারি বা বেসরকারি আপনি যে ব্যবস্থাপনাই নিবন্ধন করুন না কেন হজযাত্রীদের কিছু করণীয় থাকে, সেগুলো ঠিকঠাক মতো করতে ভুলবেন না যেন। তা হলো- ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংরক্ষণ। পিলগ্রিমআইডি নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা। ভিসা নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। বিমান টিকিট ও ফ্লাইটের তারিখ নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যেই মেডিকেল চেক-আপ এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নেয়া।