নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা ১০ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সূচকের সঙ্গে এদিন লেনদেনও কিছুটা কমেছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর লেনদেন ১৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কমে হয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা ১০ কার্যদিবস বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর কিছুটা দরপতন হওয়া স্বাভাবিক। মূলত বিনিয়োগকারীদের কিছুটা মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতার কারণে এ দরপতন হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. বখতিয়ার হাসান বলেন, রোববারের দরপতন স্বাভাবিক। এটা মূলত মূল্য কারেকশন (সংশোধন)। টানা কয়েকদিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় বিনিয়োগকারীরা হাতে থাকা শেয়ার ছেড়ে দিয়ে কিছুটা মুনাফা তুলে নিয়েছেন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, রোববার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৮৯টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে ২১১টির দাম কমেছে এবং ২৬টি কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পেনিনসুলা চিটাগাংয়ের ৩৩ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরএসআরএম স্টিল।
লেনদেনে এরপর রয়েছে ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিষ্টেমস, সাইফ পাওয়ার, আর্গন ডেনিম, শাশা ডেনিম, বিডি থাই এবং অ্যাপোল ইস্পাত। এদিন সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতের শেয়ার। মোট লেনদেনের ২২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশই এ খাতের অবদান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মোট লেনদেনে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ অবদান রেখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
এছাড়া বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের ৯ দশমিক ২২ শতাংশ, ব্যাংক খাতের ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং আর্থিক খাতের ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবদান রয়েছে। বাকি সবকটি খাতের অবদান ৫ শতাংশের নিচে।
এদিন ডিএসইতে এ গ্রুপের ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি।
আর জেড গ্রুপের লেনদেন হওয়া ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১টিরই দাম আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ৩৩টি এবং অপরিবর্তিত আছে ২টির দাম।
এছাড়া বি গ্রুপের লেনদেন হওয়া ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে, ১০টির দাম কমেছে এবং ১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এন গ্রুপের লেনদেন হওয়া ৪টির দামই কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৫৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৩টি ইস্যুর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ১৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।