নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মঙ্গলবার (৩০ মে) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর মিশনপাড়া এলাকার হোসিয়ারী সমিতি মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে মহানগর বিএনপির।
কমিটির সভাপতি অ্যাড. আবুল কালামের সভাপতিত্বে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মহানগর যুবদল নেতা শোখন ও তার ভাই সাদ্দাম হোসেন এবং জেলা ছাত্রদল নেতা মুন্না, ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা লিখন, ১৩ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বাহার, মানিক চান, সোহেল হোসেনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের কঠোর হস্তক্ষেপে বড় ধরণের কোনো ঘটনা ঘটতে পারেনি।তিনি সকলকে কঠোরভাবে দমন করেন । সভাস্থল থেকে বের করে দিয়ে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এতে হাতাহাতির ঘটনায় লিপ্ত হওয়া দুই গ্রুপই কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের প্রতি।
ইফতার মাহফিলে অ্যাড. আবুল কালাম বলেন, অচিরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগরের থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোট ৮৩টি কমিটি করা হবে। কমিটিতে যদি কেউ পদ না পায় তাহলে যেন মনমালিন্য না থাকে। কেউ বঞ্চিত হবেন না।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কখনোই ক্ষমতালোভী ছিলেন না। তিনি বিশৃঙ্খলা থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনেন। দেশকে সুষম ব্যবস্থায় আনার জন্য বিএনপি গঠন করেন। বিএনপি গঠনের মধ্য দিয়ে তলাবিহীন দেশকে সাজাতে কাজ করেছেন। আমাদের দেশনেত্রী বেগম জিয়া অনেক রাজনীতিবিদদের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। তাদের অনেকে এখন ক্ষমতায় রয়েছে।
মাহফিলে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আবার গণতন্ত্রের পায়ে বেরি পরিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে নারায়ণগজ্ঞ বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করবে।
ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি আয়েশা সাত্তার, এডভোকেট জাকির হোসেন,, নুরুল ইসলাম সর্দার, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির খান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল।ইফতার মাহফিলের আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় দরিদ্রদের মধ্যে ইফতার বিতরন করা হয়।