আন্তর্জাতিকডেস্ক: মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।এফবিআই-এর পরিচালক বলেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময় ইমেইল ব্যাবহার করা নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল, এই নিয়ে তদন্তের পর দেখা যাচ্ছে যে, হিলারির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করাটা উচিত হবে না। খবর বিবিসি।মার্কিন নির্বাচনের আর যখন বাকি মাত্র কয়েকঘন্টা, তখনো আলোচনায় উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ।কংগ্রসেম্যানকে পাঠানো এক চিঠিতে এফবিআই-এর পরিচালক জেমস কোমি বলেছেন, ঘটনার পর্যালোচনা শেষ করেছে এফবিআই। তবে, সেখানে এমন কিছুই পাওয়া যায়নি। ফলে, এই ঘটনা নিয়ে মি. কোমি’র আগের বক্তব্যই অপরিবর্তনীয় রয়েছে।গত জুলাই মাসে মি. কোমি বলেছিলেন যে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যাবহার করে সংবেদনশীল তথ্যাদি ব্যাবহারের ক্ষেত্রে হিলারি অসাবধান ছিলেন কিন্তু অপরাধী নয়।এফবিআই প্রধানের এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে হিলারির নির্বাচনী প্রচারণার যোগাযোগ শাখার প্রধান ডেনিফার পালমিয়েরি।ডেনিফার পালমিয়েরি বলছেন, ‘হিলের কাছে পাঠানো ডিরেক্টর কোমির চিঠিটা আমরা দেখেছি। আমরা আনন্দিত যে, গত জুলাইয়ে তিনি যে উপসংহারে পৌঁছেছিলেন সেটিই পাওয়া গেছে। আমরা অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তিনি এটাই পাবেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই ব্যাপারটার একটা সমাধান হলো।’ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যসমৃদ্ধ ইমেইল ব্যাবহার করা নিয়ে নির্বাচনের কিছু দিন আগে হঠাত করে বিতর্ক দেখা দেয়। আর এ কারণে হিলারির নির্বাচনী প্রচারণাও একটা টালমাটাল অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল।তবে, এখন শেষ মুহূর্তে দেওয়া মি. কোমির এই বক্তব্যকেও রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবির।রিপাবলিকান প্রার্থীর এডভাইজার নেট গিংগ্রিচ এক টুইটে বলেছেন, ‘কোমি নিশ্চয়ই অনেক রাজনৈতিক চাপে ছিলেন।’আর বিবিসির ওয়াশিংটন বিশ্লেষক এন্টনি জুরখার বলেছেন, এই নির্বাচনে যদি মি. ট্রাম্প জেতে তাহলে মি. কোমিকে বহু মানুষই দোষ দেবে। আর যদি হিলারি জিতে তাহলে তিনি নিশ্চয়ই এই বিষয়ে মনের মধ্যে একটা রাগ বা ক্ষোভ পুষে রাখবেন।