অনলাইন ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৯ জন খুনের ঘটনায় আটক ব্রেন্টন টারান্ট ওই হামলার প্রধান সন্দেহভাজন।
শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও আরেকটি মসজিদে হামলার পর ২৮ বছর বয়সী এই যুবক ও আরও তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আটক ব্রেন্টন টারান্টকে এরই মধ্যে আদালতে হাজির করে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। এইক সঙ্গে তাকে হেফাজতে রেখে আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেওয়া তথ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা বিভিন্ন বিষয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ভাষ্যমতে আল নুর মসজিদে হামলায় অংশ নেন ব্রেন্টনই।
কীভাবে এই হামলাকরীকে আটক করা হয়েছে দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই তথ্য।
বেলা দেড়টার দিকে দুটি মসজিদের হামলার পর বিশেষ সতর্কতা জারি করে নিউজিল্যান্ড পুলিশ। বার্তাও পাঠানো হয় পুলিশ সদস্যদের কাছে। ওই সতর্ক বার্তার মাত্র ৩৬ মিনিটের মাথায় ব্রেন্টনকে অনেকটা নাটকীয়ভাবে আটক করতে সক্ষম হন স্থানীয় দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
ব্রেন্টনকে আটক করা দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রশসংসা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আডের্ন। তিনি বলেন, যদি সঠিক সময়ে সন্দেহভাজন ব্রেন্টনকে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আটক না করতেন তবে সে হয়তো আরও মানুষকে হত্যা করতো।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওই হামলাকরীর গাড়িতে আরও অস্ত্র দেখা গেছে। তার নিশ্চয়ই আরও হামলার পরিকল্পনা ছিল।
হামলাকারী ব্রেন্টনকে যখন দুই পুলিশ কর্মকর্তা পাকড়াও করছিলেন তখন ব্যস্ততম সেই রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ি থেকে কেউ একজন সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।
অনেকটা অস্পষ্ট ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার এক পাশে থেমে থাকা উজ্বল রঙের একটি গাড়ি। তাকে ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশের একটি গাড়ি। পুলিশের গাড়িটি যে গাড়িটিকে চাপ দিয়ে আছে; সেটির সামনে চাকা শূন্যে উঠে আছে। এর পেছনেই পুলিশের আরও কয়েকটি গাড়ি।
ওই ভিডিওতে আরও দেখা যায়, দুইজন পুলিশ সদস্য একজন ব্যক্তির দিকে তাক করে অস্ত্র উঁচিয়ে আছেন। এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে থাকা ওই ব্যক্তির কাছে গিয়ে তাকে উল্টে দিচ্ছেন পুলিশের একজন সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী আডের্ন বলেন, ওই ব্যক্তিকে ধরতে যে দুই পুলিশ সদস্য কাজ করেছেন তারা স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশের সদস্য। সতর্ক বার্তা দেওয়ার ৩৬ মিনিটের মাথায় তাকে আটক করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশও ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রশসংসা করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে তাদের ভিডিও দেখে পুলিশ সদস্যদের জন্য গর্ব প্রকাশ করেন।