স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে হয়রানি

একাত্তলাইভ ডেস্ক: রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট আইডি কার্ড নিতে এসে ভোটাররা হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে গিয়েও পাচ্ছেন না সঠিক তথ্য।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রোববার ‍স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কার্ড বিতরণের কাজ। আজ মঙ্গলবার চলছে দ্বিতীয় দিনের বিতরণ কার্যক্রম।মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রমনা থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইস্কাটন গার্ডেন রোডের ভোটাররা সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ ক্যাম্প থেকে কার্ড সংগ্রহ করতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।স্মার্ট কার্ড নিতে আসা রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক মারিয়া মাহতাব ক্ষোভের সঙ্গে জানান, প্রায় এক বছর আগে তিনি তার আইডি কার্ডে ‘নাম’ এবং ‘জন্মসন’ সংশোধন করার জন্য আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। কিন্তু এক বছরেও তাকে সংশোধিত আইডি কার্ড দেওয়া হয়নি। আজ তাদের ওয়ার্ডে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে- জানতে পেরে তিনি নিতে এসেছেন। কিন্তু স্মার্ট আইডি কার্ডে সেই ভুলই রয়ে গেছে।এ বিষয়ে কথা হয় রমনা থানা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবা মমতা হেনার সঙ্গে। তিনি জানান, মারিয়া মাহতাব সংশোধনীর আবেদন করেছিলেন, তা সঠিক ছিল না। কারণ সংশোধনের আবেদন করলে তখন মূল আইডি কার্ডটি নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্লাস্টিকের মূল আইডি কার্ডটি তার (মারিয়া মাহতাব) কাছেই রয়েছে। সংশোধনীর আবেদন করলে নির্বাচন অফিস থেকে তাকে একটা স্লিপ দেওয়ার কথা কিন্তু তিনি তাও নিয়ে আসেননি।তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে বলেছি- যে এখন সঠিকভাবে আমাদের কাছে আবেদন করতে। তাহলে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান তিনি পাবেন।’ শুধু মারিয়া মাহতাব নন, এরকম অনেকেই আজ অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ হচ্ছে- অপারেটরদের কাছে কোনো তথ্য জানতে চাইলে তারা সঠিক তথ্যই দিতে পারছেন না। তাই ভোটাররা এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে ঘোরাঘুরি করছেন।এই প্রসঙ্গে মাহাবুবা মমতা হেনা বলেন, ‘আসলে এখন আমরা যে স্মার্ট কার্ড দিচ্ছি, এটা পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। যার জন্য অপারেটরদের দুইদিনের প্রশিক্ষণ দিয়েই কাজে লাগানো হচ্ছে। অনেকেই নতুন, তাই তারা সব কিছু মনে রাখতে পারছেন না। আশা করি আগামীতে এই সমস্যা আর থাকবে না।’গরম পড়ায় অনেকের হাত ঘেমে যাওয়ার কারণে আঙুলের ছাপ মিলছে না। অনেক চেষ্টার পরও যাদের মিলছে না, তাদের চোখের আইরিশ নিয়ে স্মার্ট কার্ড দিয়ে দিতে দেখা গেছে। তাদের আঙুলের ছাপ স্থানীয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে আপডেট করতে পরামর্শ দিচ্ছেন অপারেটরা।