একাত্তরলাইভডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘সরকার বিদেশী শক্তির ‘ক্রিড়নকে’ পরিণত হয়েছে। সরকারের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে।’ ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি নেত্রী এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বরকে জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন অভিহিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন করে আধিপত্যবাদের প্রসারিত ছায়ার নিচে দেশকে ঠেলে দেয়। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে বিভীষিকাময় শাসন চালু করা হয়। ফলে দেশে চরম অশান্তি ও হতাশা নেমে আসে।’ বিএনপি নেত্রী বলেন, ‘দেশের এই চরম সংকটকালে ৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। এই অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। বিদেশী শক্তির এদেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’ ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পূণরুজ্জীবিত করা এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা কারর আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।‘জাতীয় বিপ্ল¬ব ও সংহতি দিবসে’ খালেদা জিয়া দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।অপর এক বানীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি বলেন, ‘৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়।’
স্বার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে : খালেদা
November 6, 2016