আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ সংবাদ প্রকাশের পর স্বামীর নির্যাতনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত গৃহবধু পাখি বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে পুলিশ বাদী হয়ে স্বামীসহ চার জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের। ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে পোস্ট মর্টেমের জন্য গতকাল সোমবার দুপুরে কবর থেকে পাখির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত পাখির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা প্রশাস ড. গাজী সাইফুজ্জামানের নির্দেশে গতকাল সোমবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শতরূপা তালুকদারের উপস্থিতিতে মারা যাওয়া গৃহবধূ শিরিন আক্তার পাখির লাশের ময়নাতদন্তর জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। এসময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই ফোরকান উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে থানার এসআই মো. লোকমান হোসেন ৯ জুলাই নিহত গৃহবধু পাখির জঙ্গী স্বামী রুহুল আমিন খোকনসহ চার জনের বিরুদ্ধে পেনাল কোড ৩০২ ও ২০১ ধারায় মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৩। পুলিশের মামলা দায়েরের পর পাখি বেগমের লাশের ময়না তদন্তের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে গতকাল সোমবার দুপুরে পাখি বেগমের কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। গতকালই ময়না তদন্তের জন্য পাখির লাশ বরিশাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। সূত্র মতে, আগৈলঝাড়া উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের ইউসুফ ফকিরের ছেলে নিহত শিরিন আক্তার পাখির ভাই মনির উদ্দিন হাফিজ জানান, তার বোন দুই সন্তানের জননী পাখিকে গৌরনদী উপজেলার চাঁদশী গ্রামের নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে রুহুল আমিন খোকনের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে খোকন ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুক হিসেবে পাখির কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিল। তাদের চাহিদানুযায়ি টাকা দিতে না পারায় প্রায়ই তার বোন পাখিকে নির্যাতন করায় চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।