সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর গাঁজা সেবন !

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :  নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এক রোগীর প্রতিদিন গাঁজা সেবন নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গাঁজা সেবনের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালে পুরুষ ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন রোগী ও হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও স্টাফরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়, উপজেলার সাহাপুর গ্রামের জিয়াউদ্দিন ভূইয়া জীবন গত ১৭ এপ্্িরল বাড়ির সীমান নিয়ে দুই ভাইয়ের সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসা নিতে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি হন। চিকিৎসা নিতে আসার পর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর তার কয়েকজন সহযোগী এসে হাসপাতালে ভীড় জমান। পরে অন্যান্য রোগীদের সামনেই সিগারেটে গাঁজা ভরে সেবন শুরু করে। এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের রোগী ও হাসপাতালের নার্স ও স্টাফরা একাধিকবার নিষেধ করার পরও কোন কর্ণপাত করেনি।

ঘটনার পর রোগী, নার্স ও স্টাফরা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) আবুল কালাম আজাদকে অবহিত করলে তিনি তাকে সাবধান করেন। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পরলে গতকাল মঙ্গলবার সকালে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী শান্ত হয়।
সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার(আরএমও) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জিয়াউদ্দিন জিবনের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বেডে গাঁজা সেবনের অভিযোগ করেছেন হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও স্টাফরা। তিনি যে আহত হয়েছেন সেই চিকিৎসা ভর্তি হওয়ার তিনদিন পর শেষ হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দিলেও তিনি এখনও অসুস্থ্য এ অজুহাতে হাসপাতাল ছাড়তে চাইছেন না। টিএইচও স্যার ছুটিতে থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরুষ ওয়ার্ডের একাধিক রোগী জানান, জীবন নামের ওই রোগীর কাছে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর একাধিক লোকজন এসে উচ্চ স্বরে গল্প গুজব করে। তাছাড়া সিগারেটের মাধ্যমে গাঁজা খায়। গাঁজা র্দুগন্ধে হাসপাতালে থাকা যায় না। এ বিষয়টি হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের জানিয়েছি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জিয়াউদ্দিন জিবন একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। পুলিশ তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন ভূইয়া দুলাল বলেন, তাকে একাধিকবার মাদক সেবনে নিষেধ করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানায় থেকে তাকে মুছলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। তাকে নিষেধ করলে আমাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণ নাশের হুমিক প্রদান করে।
সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত এসএম ওবায়েদুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।