সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার এন্ড আল্ট্রাস্উান্ড আধুনিক সেবার সব উপকরণ আছে-রোগী নেই

মাহাবুবুর রহমান, প্রতিনিধি কক্সবাজার
কক্সবাজার পরমাণু শক্তি কমিশন এর আওতায় শহরের কলাতলী এলাকায় অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস চিকিৎসা বিজ্ঞানের আধুনীক সব সেবা নিয়ে বসে আছে, যেখানে অত্যন্ত আধুনীক এবং নতুন যন্ত্রপাতী দিয়ে খুবই কম খরচে করা হয় জটিল সব রোগের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সরাকরি এই প্রতিস্টানে সার্বক্ষনিক ডাক্তার এবং প্রয়োজনীয় সব কিছু আছে তবে সাধারণ মানুষ এ সব সেবা সম্পর্কে জানে না তাই ডাক্তার থাকলেও রোগি আসছে না। ফলে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ বিশাল একটি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে এখেত্রে কক্সবাজারে কর্মরত ডাক্তারদের আন্তরিকতাই বেশি কার্যকর ভুমিকা রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ঠ্যরা।
কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন আমার মায়ের অসুস্থতার কারনে সম্প্রতী কক্সবাজারের এক ডাক্তারের পরামর্শে একটি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম শেভরণে নিয়ে যায়। সেখানে বোর্ন স্কেণ নামক পরীক্ষাটি করার জন্য যখন লাইনে দাড়িয়ে আছি তখন এক লোক বলেছে আপনারা কক্সবাজার থেকে এই পরীক্ষার জন্য এখানে এসেছেন কেন কক্সবাজারে এর ছেয়ে খুব কম খরচে আরো ভালো পরীক্ষা আছে।

এখানে এই পরীক্ষা সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিচ্ছে অথচ এই পরীক্ষা কক্সবাজারে ১ হাজার টাকা দিয়ে করানো যাবে। কলাতলীর একটি হাসপাতালে নাম বলাতে আমি খুবই অবাক ! কারণ আমি নিজেই এই হাসপাতাল সর্ম্পকে জানি না। পরে যেহেতু টাকা জমা করে ফেলেছি তাই পরীক্ষাটি সেখানে করার পর ১ দিন পরে কক্সবাজারে এসে কলাতলীর সেই হাসপাতালে গেলাম দেখলাম আসলেই সত্যি যে পরীক্ষা আমি চট্টগ্রাম শেভরণে করে এসেছি একই পরীক্ষা এখানে আছে। ত্ওা মাত্র ১ হাজার টাকায়। তিনি বলেন আমি বুঝতে পারছিনা এখানে এত বেশি সুযোগ থাকতে কেন আমাদের এত হয়রানী আর টাকা খরচ করানো হলো।
২১ মার্চ বেলা ১২ টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীস্থ পরমাণু শক্তি কমিশনের পাশে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস সেন্টারে গিয়ে দেখা যায় নীচ তলায় কয়েক জন রোগি বসে আছে এর মধ্যে রামু গর্জনিয়া এলাকার বশির আহামদের ছেলে কলেজ ছাত্র মোবারক জানান আবার আব্বাকে নিয়ে আমরা কয়েক বছর ধরে বহু ডাক্তার দেখিয়েছি বহু টাকা পয়সা খরচ করেছি। উনার থাইরয়েডের সমস্যা ডাক্তাররা একেক সময় একেক পরীক্ষা দেয় কিছু দিন আগেও ঢাকা থেকে ডাক্তার দেখিয়ে এসেছি অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষাও করে এসেছি। মাস খানেক আগে এক জনের কাছে শুনলাম এখানে ভাল একজন ডাক্তার আছে এবং ভাল চিকিৎসা ও আছে। সে কারনে এখানে ডাক্তার সাহেব কে দেখানোর পর উনি এখানে পরীক্ষা করে বেশ কিছু চিকিৎসা দিয়েছে এতে আমার আব্বার বেশ আরাম লাগছে তাই আবার দেখানে এসেছি। তিনি বলেন এখানে দেখলাম সব পরীক্ষাতে খুবই কম টাকা এবং ভাল চিকিৎসা আসলে মানুষ জন না জানার কারণে এই হাসপাতাল টিতে ভীড় কম। আমার মতে মানুষ যদি এখানকার সেবা সম্পর্কে জানতো তাহলে বেশ উপকার হতো।
আলাপ কালে সেন্টার ফর নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড আল্ট্রাসাউন্ড এর পরিচলাক সহযোগি অধ্যাপক ও পরিচালক ডাঃ এমএস আলম প্রিন্স বলেন এটা সম্পূর্ন সরকারি একটি সেবা কেন্দ্র এখানে খুবই অল্প খরচে ভাল মনের পরীক্ষা সহ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। আমাদের এখানে বোর্ন স্কেন, রেনোগ্রাম, থাইরয়েড স্কেন সহ সব ধরনের হরমোণ পরীক্ষা খুবই নতুন এবং ভাল মেশিনে হয় যে পরীক্ষা ঢাকা চট্টগ্রামে ৭ থেকে ১০ হাজার সেই পরীক্ষা এখানে মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। আসলে প্রচার প্রচরনার অভাবে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কক্সবাজারের মানুষ।

এখানে কিডনী সব ধরনের আধুনীক পরীক্ষাও হয় যা আর কোথাও হয় না। তিনি বলেণ আমি নিজে কক্সবাজারের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে গিয়ে অনুরোধ করি যেন মানুষ জনকে এখানে পাঠায় এবং সুবিধা নেয় যার ফলে ইদানিং অনেক রোগি আসছে আগে দৈনিক ২/৩ জন রোগি হতো এখন ১৫/২০ জন হয়। কিন্তু সেটা হওয়ার কথা আরো অনেকে বেশি। এক মন্তব্যে তিনি বলেন যদি প্রকৃত পক্ষে রোগির ভাল চায় তাহলে ডাক্তাররা এখানে আসতে বলবে আমি সেটাই প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন সরকার হাজার কৌটি টাকা খরচ করে এখানে মানুষের সেবার জন্য এত দামী প্রতিস্টান করেছে যন্ত্রপাতী দিয়েছে অথচ আমরা সেই সেবা সম্পর্কে জানিই না।

এছাড়া এখানে সব ছেয়ে বেশি সমস্যা দেখা গেছে পুরু প্রতিস্টানে আছে মাত্র ১ জন ডাক্তার তিনিই পরিচালক তিনিই হিসাব রক্ষক আবার তিনিই সব কিছু। ৫ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও সেখানে কাজ করছে ১ জন ডাক্তার। তুবও তিনি সার্বক্ষনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেণ কিছু দিন আগে আমার এক নিকট আত্বিয় মারা গেছে আমি সেন্টার ছেড়ে যেতে পারি নি। আমার খারাপ লাগলেও কিছু করার ছিল না। তবে আমি আসা করবো সরকারের এই সুবিধা মানুষ নিক এবং সেবা পাক। এটা জনগনের অধিকার খুব কম খরচে এখানে ভাল সেবা আছে সেটা সবাইকে জানানো উচিত। এদিকে সচেতন মহলের দাবী কক্সবাজারে কর্মরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা চাইলে এই সরকারে প্রতিস্টান এবং সাধারণ জনগন দুটিই উপকার হতো।