একাত্তলাইভ ডেস্ক: সুস্থ ধারার নাটক ও চলচ্চিত্র সমাজের আঁধার মুছে আলোকিত, সৃষ্টিশীল মানুষ ও সমাজ উপহার দিতে পারে বলে জানিয়েছেন এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ।বুধবার দুপুরে রাজধানীর বসন্ধুরার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনে অ্যান্ড ড্রামাটিক্যাল ক্লাবে (এনএসইউডিসি) তিন মাসব্যাপী দেশের ৩২টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুস্থ ধারার নাটক ও চলচ্চিত্র সাধারণ মানুষের বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ইতিহাসের বাহক হিসেবে সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে। বর্তমান সরকার বাঙ্গালি জাতির ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সাহিত্য বিকাশ ও সুকুমার বৃত্তির বহিঃপ্রকাশে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।তিনি আরো বলেন, দেশীয় নাটক, চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি বিকাশে প্রতিটি বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে শিল্পকলা একাডেমি নির্মাণ কাজ চলছে।তিনি বলেন, এনএসইউডিসির চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়াকে ভালো উদ্যোগ। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়বে।অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ শ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মো. আজিম উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এম এমদাদুল হক, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা, গাজী রাকায়াত, রাফসান এলাহী ও ক্লাবের সভাপতি তানজিমুল ইসলাম মিথুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের নির্মিত নাটক ও চলচ্চিত্র উপভোগ করেন এবং বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও চলচ্চিত্র বিষয়ক উপকরণ তুলে দেন।উল্লেখ্য, এনএসইউডিসি তিন মাসব্যাপী দেশের ৩২টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ ২০১৬ আয়োজন করে।ক্লাবের পক্ষ থেকে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণ, স্থান ও বিষয় নির্বাচন, আলোকচিত্র ও ভিডিও সম্পাদনাসহ চলচ্চিত্রসংক্রান্ত মৌলিক বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন।
‘সুস্থ নাটক ও চলচ্চিত্র আলোকিত সমাজ উপহার দেয়’

October 5, 2016