সুন্দরবন রক্ষায় পিছু হটার সুযোগ নেই : আনু মুহাম্মদ

একাত্তরলাইভডেস্ক: তেল- গ্যাস- খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের বিজয়ী হতে হবে। দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে, এ থেকে পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই। তিনি রোববার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে  ১০ গুণ বড়। যার বিরূপ প্রভাবে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ছাড়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণে  সুন্দরবন হুমকির সম্মুখীন হবে। সুন্দরবন আমাদের জন্য একটি স্পর্শকাতর  বিষয়। সারাদেশ থেকে আমরা যত মধু পাই তার অর্ধেকেরও বেশি আসে সুন্দরবন থেকে। এখানে মৌমাছি আক্রান্ত হলে উদ্ভিদ আক্রান্ত হবে। আর তা থেকে প্রাণিজগতও আক্রান্ত হবে ।তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে জাহাজ তো ঢুকছে, আর দু-একটা জাহাজ ঢুকলে ক্ষতি কী? মাঝে বলা হয়েছে, মোংলা-ঘষিয়াখালি নিয়ে আমরা কথা বলি না,  এটা ঠিক না। আমরা এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। এটা দখল করে রেখেছিল প্রভাবশালীরা। আমরা চাই এটা খোলা থাকুক। তিনি বলেন, এই চ্যানেলগুলো দিয়ে বর্তমানে যে জাহাজগুলো আসা যাওয়া করে সেখানে ৫০০ টন পর্যন্ত মালামাল নিয়ে চলাফেরা করে। কিন্তু রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য যে জাহাজগুলো আসবে তা প্রায় ১২ হাজার টন পর্যন্ত মালামাল নিয়ে আসবে, যার প্রভাব পড়বে সুন্দরবনের ওপর। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের চিমনি উঁচু করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চিমনি যে পরিমাণ উঁচু করার কথা বলা হয়েছে, তা থেকেও নির্গত ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত হয়ে সুন্দরবনের ক্ষতি করবে। আর এর প্রভাবে খুলনা ও তার আশপাশের শহরগুলোতেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।আনু মুহাম্মদ বলেন, অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিধ্বংসী সব অপতৎপরতা বন্ধ, সুন্দরবন নীতিমালা প্রণয়ন ও ইউনেস্কোর সুপারিশ বাস্তবায়ন করে সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে। তিনি আগামী ২৪-২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী ঢাকা চলো কর্মসূচি সফল করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।