আরিফুল গণি লিমন সিরাজগঞ্জ : ৭১’ুএ মাহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন কারী বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলীকে (৭০) কে জীবন নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, কামারখন্দ উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামে এই মুক্তিযোদ্ধা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতেই প্রতিবেশী ভারতে প্রশিক্ষন নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের জীবন বাজি রেখে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। এই হাতেম আলী বর্তমানে বয়সের ভারে নুয্য, প্রায় পঙ্গু এবং বধীর হিসাবে জীবন যাপন করছে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালিন সময়ে তার কোমড়ে ব্যাথা পেলেও এখন তা প্রকট আকার ধারন করেছে বলে তার যুদ্ধ সাথীরা জানায়। সে বর্তমানে অপরের সাহায্য ছাড়া চলা ফেরা তো দুরের কথা পরিধানের বস্ত্রও পরতে পারে না। ব্যাক্তি জীবনে তিনি পোষ্ট অফিসের ডাকপিয়ন পদে কর্মরর্ত ছিলো। অবসর কালীন সময়ে তার স্ত্রী মৃত্যু বরন করায় তার অসুস্থার প্রেক্ষিতে এবং সংসার পরিচালনার জন্য ধোপাকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক আকন্দ নানা ভাবে প্রলোভিত করে তার তালাক প্রাপ্তা শালীকাকে হাতেম আলীর সহিত বিবাহ প্রদান করে। পরর্বতীতে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার সেবা সহ সংসার পরিচালনাতো দুরের কথা তার ভগ্নীপতি খালেকের প্ররোচনায় হাতেম আলীর জীবনের শেষ সম্বল মহামান্য সরকার ঘোষিত সম্মানি ভাতা ও তার বসত বাড়ি তার অনুকুলে লিখে দিতে বলে। সে তার এই অবাস্তব দাবী মানিয়া না নিলে সংসারে প্রচন্ড অশান্তি সৃষ্টি করে। বিবাহের মাত্র কয়েক দিনের মাথায় তাহার বোনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ধোপাকান্দি গ্রামে সে আশ্রয় নেয়। তার এই তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর বড় বোন সাজেদা খাতুন, জং আব্দুল খালেক আকন্দ গ্রাম ধোপাকান্দি কামারখন্দ সিরাজগঞ্জ বাদী হইয়া আমাকে ও আমার পরিবারের পুত্র-কন্য সহ মোট ৪জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর-৫৯৩/১৬। ১৯/৯/১৬ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতের আদেশক্রমে হাজির হইয়া জামিনের প্রার্থনা করিলে আদালতে পূর্নাঙ্গ শুনানি অন্তে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধীতা সত্বেও জামিন মঞ্জুর করেন। তদাক্রশে হাতেমের বাড়িতে এসে মামলার বাদীনী সাজেদা খাতুন, স্বামী আব্দুল খালেক, রাশেদা খাতুন হুমকি দামকি প্রদান করে। এ সময় আরও বলে আমাদের সঙ্গে আপোশ না করলে আগামী ধার্য্য তারিখেই আসামিদের হাজতে পাঠাবে। প্রয়োজন হলে মামলা ঢাকায় নিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে এলাকা বাসি জানায় সাজেদা ও রাশেদা খাতুন একাধিক জায়গায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অত্যান্ত কৌশলে স্বামীর পকেট হাতিয়ে নেয়া তাদের নেশা এবং পেশা।
উল্লেখ্য, বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী জানায়, আমার সদ্য বিবাহিতা মেয়ে যাকে এখনও আমি অর্থের অভাবে শ্বশুরালয়ে পাঠাতে পারিনি এবং আমর একছেলে সিরাজগঞ্জ পোষ্ট অফিসে প্যাকার পদে চাকুরী করে তার প্রাপ্ত বেতনের টাকায় এই দরিদ্র পরিবার পরিচালনা করে। তাদের কেউ অর্থের লোভে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে। সে আরও জানায়, ডাকায় যায়া মামলা করলি আমি কি করমু, আমার পোলা মাইয়ার কি অইবো।
এব্যপারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের, সুদৃষ্টি কামনা করেন সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধা সহ এলাকার সচেতন মহল।
থানা সুত্রে জানাযায় এব্যাপারে কামারখন্দ থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নং-৫১৭/১৭.১০.১৬ইং তারিখ।