সিইসির পরিবর্তন চান ড. কামাল

অনলাইন ডেস্ক : সিইসি কে এম নূরুল হুদার পরিবর্তন চেয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও সিইসির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি। আমরা তার সঙ্গে কথা বলেও সন্তুষ্ট নই। এজন্য আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চাই। আমাদের দাবি হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তে একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে এ পদে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। তিনি একজন বয়স্ক মানুষ ও সিনিয়র অফিসার। আমি আগেও বলেছি আপনার ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। তবে আমাদের মত পরিবর্তন করতেও পারি।’

রোববার বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গণফোরাম। এই সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে গণফোরামে যোগ দেন কুড়িগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিন ও একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।

সিইসি নূরুল হুদার উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, ‘আগে যাই করেছেন, এখন থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুন। কেন আপনি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আদেশ দিচ্ছেন, তা ভেঙে বলুন। তথ্য সহকারে বলুন, যাতে আমরা যাচাই করে দেখতে পারি। আপনি কি যুক্তিসঙ্গত কারণে লোকদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিচ্ছেন, নাকি সরকারের নির্দেশে করছেন? যদি দ্বিতীয়টি সত্য হয় তাহলে আমরা আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। আমরা হাইকোর্টে যাবো।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গণভবন, মন্ত্রীদের বাসভবন ও সরকারি অফিস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এরপরও নির্বাচন কমিশন নীরব ভূমিকা পালন করছে।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘সরকারি দলের প্রার্থী ও মন্ত্রীরা দাপটের সঙ্গে নির্বাচনি প্রচার ও ভোটারদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন তাদের প্রটোকলসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এমনকি প্রার্থীদের এলাকায় ও নিজ বাড়িতে কর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠক ও মতবিনিময়ে বাধা সৃষ্টি করছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’

গণফোরামে নতুন যোগ দেওয়া আ ম সা আমিন বলেন, ‘আমার রাজনীতিতে আসার মূল কারণ কুড়িগ্রামের মানুষ। আমি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতাম। ২০০১ সালে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হেরে গেছি। আমি এখন মনে করছি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে আমি আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে পারবো।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।