একাত্তরলাইভডেস্ক: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে বিদেশি অতিথিরা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সব বাম শক্তিকে এক হয়ে লড়াই করতে হবে।শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘সাম্রাজ্যবাদ নয়া উদার গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা’- শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৪ জন বিদেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- ভারতের সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদ সম্পাদক ডি রাজা, সিপিআই (এম) সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নীলোৎপল বসু, সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শ্যামল চক্রবর্তী, সিপিআইয়ের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক কে এন পিল্লাই রাম চন্দ্র, নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) স্টান্ডিং কমিটির সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী সুরেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য আলেকজান্ডার পোতাপভ, ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পাদক অধ্যাপক জন ফস্টার, জার্মানির এম এল পিডের আন্তর্জাতিক বিভাগের সদস্য থমাস বেইসেনক্যাম্প প্রমুখ।বক্তারা বলেন, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাম দলগুলো অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত। সাম্রাজ্যবাদ, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা এবং উদার গণতন্ত্রের নামে নয়া সাম্রাজ্যবাদী ধারণার বিরুদ্ধে লড়তে হলে সব বাম দলকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে শক্তি সঞ্চয় করে নিপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদ সংক্রিয়ভাবে শেষ হয় না, তাকে শেষ করতে হয়। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সমাজতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প। কিন্তু সমাজতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত ধর্মীয় মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। সাম্রাজ্যবাদকে আড়াল করার জন্য এর স্রষ্টারা নতুন নাম করেছে বিশ্বায়ন। বিশ্বায়ন মানে বিশ্বজুড়ে পণ্য পরিসেবা বা বিনিময় বাড়ানো নয়। বিশ্বায়ন মানে লগ্নি পুঁজির বিনিয়োগ বাড়ানো। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বৈষম্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। তাই এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলায় কমিউনিস্ট রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে নিপিড়িত মানুষের লড়াই সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে তরুণ নেতৃত্ব প্রয়োজন। তরুণ নেতৃত্বের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই পারবে এই প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে।
‘সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে’
October 29, 2016