নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা সংস্থার ওসি মো: মামুনুর রশীদ মন্ডলকে জেরা করেছে নূর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তা পুর্ণেন্দু বালার আইনজীবীরা।সোমবার (৩ আক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সকাল সাড়ে ৯ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত প্রধান আসামী নূর হোসেন, র্যাবের চাকুরীচ্যুত সিইও তারেক সাঈদ, এম এম রানা, আরিফসহ ২৩ আসামীর উপস্থিতিতে প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অসম্পূর্ণ জেরা সম্পন্ন করেছেন নূর হোসেনের আইনজীবী এড. খোকন সাহা। পরে র্যাব কর্মকর্তা পুর্নেন্দু বালার পক্ষে তাই আইনজীবী জেরা শুরু করেন।আদালত আগামী ৬ অক্টোবর জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী এড. ওয়াজেদ আলী খোকন একাত্তরলাইভ ডটকম কে জানান, সাত খুনের দু’টি মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) ওসি ও বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের (ডিআই-১) মো: মামুনুর রশীদ মন্ডলকে আসামীপক্ষের জেরা চলছে। আগামী ৬ অক্টোবর আসামী পক্ষের আইনজীবীরা প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আরো জেরা করবেন।মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নূর হোসেনের আইনজীবীর জেরা করা শেষ হয়েছে। আর পুর্নেন্দু বালার আইনজীবী জেরা শুরু করেছেন। এর আগে রানার পক্ষে জেরা শেষ করা হয়।সাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, এদিন আদালতে জেরার সময় কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি। এমনকি প্রধান তদন্তকারীকে অসংলগ্ন ভাষায় কেউ জেরাও করেনি।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এ পর্যন্ত ১০৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হয়েছে।