সাংবাদিককে বাস থেকে ফেলে ‘হত্যাচেষ্টা

অনলাইনডেস্ক: রাজধানীর পল্টনে দৈনিক প্রথম আলোর অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক কমল জোহা খানকে মারধর করে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ‘হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগে নিউভিশন পরিবহনের এক চালককে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।

শনিবার সন্ধ্যায় পল্টন মোড়ে ওই ঘটনার পর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন সাংবাদিক কমল জোহা খান।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, মো. রাসেল (২৬) নামের ওই চালকের লাইসেন্স নেই। গাড়িরও কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিক কমল জোহা খান বলেন, ‘গতকাল প্রেস ক্লাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। প্রেস ক্লাব যাওয়ার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে কারওয়ান বাজার থেকে নিউ ভিশন বাসে উঠি। উঠার সময় বাসে অল্প যাত্রী ছিল। তবে বাংলামোটরে যেতেই সিটিং সার্ভিস হওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত ১০/১৫ জন যাত্রী উঠায়।’

তিনি বলেন, ‘মৎস্য ভবন পার হওয়ার পর হেলপারকে বলি সামনেই প্রেস ক্লাব যাত্রীদের সরিয়ে আমাদের নামার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু হেলপার ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত। বাসটি প্রেস ক্লাব পার হয়ে পল্টন মোড়ের পশ্চিম পাশে পৌঁছায়। এবার চালককে বাস থামাতে বললে তিনি রেগে যান। ইঞ্জিন বন্ধ করে চালকের আসন থেকে নেমে গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার শুরু করে। প্রতিবাদ করায় মুখে, মাথায় ও ডান পায়ের হাঁটুর নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে সজোরে ঘুষি ও লাথি মারেন। বাসের মেঝেতে পড়ে গেলে চালক পকেট থেকে পাঁচশ টাকা বের করে নেয় এবং স্ত্রী ও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরে দ্রুত বিষয়টি পল্টন মোড় ইউবিএল ট্রাফিক পুলিশ বক্সে জানালে এগিয়ে আসেন সার্জেন্ট জামিল। সার্জেন্ট বাসের সামনে দাঁড়িয়ে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাসের কাগজপত্র চাইলে তাদেরকেও হুমকি দেয় এবং গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পরে অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এসে চালককে বাস থেকে নামিয়ে গাড়ি হেফাজতে ও চালককে আটক করে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করে। শাহবাগ থানায় আমি বাদি হয়ে মামলা করেছি।’