সস্ত্রীক জামিন পেলেন মির্জা আব্বাস

একাত্তরলাইভ ডেস্ক: গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা তিন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার মির্জা আব্বাস দম্পতি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন।

মির্জা আব্বাসদের পক্ষে শুনানি করেন সুপিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টনের সামনের রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর ১টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পাল্টা হামলা চালায়। তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন থানায় তিনটি মামলা করে।