মাহাবুবুর রহমান: কক্সবাজারে সরকারি ভাবে ২ টি হ্যাচারি থাকলেও তাতে সব ধরনরে কার্যক্রম বন্ধ আছে তার মধ্যে একটি ৫ বছর ধরে অন্যটি তারোও বহু আগে। এর ফলে সরকারি এসব হ্যাচারী এখন আর্বজনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। একই সাথে নস্টা হয়ে যাচ্ছে বেশির ভাগ মূল্যবান যন্ত্রপাতী আবার চুরি হয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু। এদিকে সরকারি হ্যাচারীতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় বেসরকারী ভাবে উৎপাদিত হ্যাচারী থেকে বেশি দামে পোনা কিনতে হচ্ছে আবার মান সম্মত পোনা প্রাপ্তিও নিশ্চিত হচেছ না।একই সাথে এর সাথে সংশ্লিষ্ঠ্যরা বসেই বেতন ভাতা নিচ্ছে। এদিকে সরকারি হ্যাচারী বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ঠ্য কর্মকর্তারা বলেন আগে চাহিদার কারনে সরকারি হ্যাচারী করা হয়েছিল। এখন সে গুলোকে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা চলছে।
কক্সবাজার বিমান ঘাটি সংলগ্ন আ লিক মৎস কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতরে থাকা সরকারি হ্যাচারীতে গিয়ে দেখা যায় এখানে হ্যাচারীর কোন অস্তিত্তই নেই। এক সময়ের সব ছেয়ে উৎপাদন মুখর এই সরকারি হ্যাচারীটি এখন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে অযতœ অবহেলায়। চারিদিকে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর এই শিলপ প্রতিস্টান দেখলে যে কেউ বলবে এটি ময়লায় ভাগাড়। একটু কস্ট করে ভেতরে গিয়ে দেখা যায় এখান কার বেশির ভাগ যন্ত্রপাতীতে যং ধরেছে তাই সব অচল। আবার বেশ কিছু মুল্যবান যন্ত্রপাতী চুরি ও হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হ্যাচারী ব্যবসায়ি মিজানুর রহমান বলেন মুলত প্রথম প্রথম সরকারি হ্যাচারী ভালই উৎপাদন হতো। সেখান থেকে আমরা অনেক পোনা কিনেছি। এবং ভাল ব্যবসাও করেছি। তবে পরবর্তিতে বেসরকারী ভাবে বেশ কয়েক টি হ্যাচারী গড়ে উঠার পরে কেন জানি না সরকারি হ্যাচারীটি আস্তে আস্তে বন্ধ হতে শুরু করেছে। এখনতো একেবারেই বন্ধ তার মধ্যে কলাতলীতে যে সরকারি হ্যাচারী ছিল সেটি অনেকআগে বন্ধ হয়ে গেছে পরে কিছু দিন মৎস অফিসের ভেতরের হ্যাচারীটি চালু থাকলেও বর্তমানে সেটিও চালু নেই। তবে এখানে একটি বিষয় আছে যখন সরকারি হ্যাচারী ছিল তখন অন্য বেসরকারী হ্যাচারী ছিলই না। এখন অনেক ভাল ভাল হ্যাচারী গড়ে উঠেছে তাই সেটির আর প্রয়োজনও পড়ে না। তবুও আপদ কালিন মুহুর্তের জন্য একটি সরকারি হ্যাচারী থাকা দরকার। কারন মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক বা অনেক কারনে হঠাৎ করে পোনার দাম বহুগুন বেড়ে যায়। তখন যদি ন্যায্য মুল্যে সরকারি হ্যাচারী থেকে মানুষ পোনা কিনতে পারতো তাহলে সবার জন্য ভাল হতো। সেটা না হলে বিকল্প কোন একটি হ্যাচারী কার যেত যেমন এখন অনেক ধরনের সম্ভবনা আছে কাকড়া, কুচিয়া, সাগরের চিংড়ী, মুক্তা ইত্যাদি। এভাবে সরকারি কর্মচারীরা বসে বসে বেতন ভাতা ভোগ করতে সেটা সঠিক না।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার মৎস চাষ প্রকল্প এডিবি ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আমাদের অফিস সংলগ্ন সরকারি হ্যাচারীটি ২০১৩ সালের দিকে বন্ধ হয়ে গেছে এরও বহু আগে বন্ধ আছে কলাতলী তে থাকা সরকারি হ্যচারী। মূলত এসব হ্যাচারী গড়ে উঠেছিল তৎকালীন সময়ের প্রয়োজনিয়তার উপর তখন মানুষ কিভাবে রেনু থেকে পুনা উৎপাদন করে সেটা বিনিজ্যিক ভাবে ছাড়া যায় সেটা জানতো না সরকার সাগর পাড়ের জেলা হিসাবে কক্সবাজারে সরকারি ভাবে হ্যাচারী করে বিদেশ থেকে ট্যাকনেশিয়ান এনে সেটা আমাদের মৎসজীবিদের শিখিয়েছে। এখন সেই পরিস্থিতি নেই এখন সরকারি হ্যাচারীর ছেয়ে বহুগুন মান সম্মত হ্যাচারী আছে। যারা নিয়মিত পোনা উৎপাদন করছে এবং বানিজ্যিক ভাবে সফল হয়েছে। তার ছেয়ে বড় কথা এখন পোনার চাহিদা মেটাতে পারছে আমাদের বেসরকারী হ্যাচারী গুলো। তবে সম্প্রতী বন্ধ থাকা এ সব হ্যাচারী কে নতুন ভাবে ভিন্ন কোন পদ্বতিতে চালু করার চিন্তা করছে সরকার।
এ ব্যাপারে আ লিক মৎস কর্মকর্তা একেএম মোখলেছুর রহমান বলেন সরকারি হ্যাচারী গুলো বন্ধ আছে এটা ঠিক এ গুলো রক্ষনাবেক্ষন করা হচ্ছে। তবে মাছে মধ্যে কিছু বিচিছন্ন ঘটনাতো হয়েই যায়। তিনি বলেন আসলে সরকার তখনকার বাস্তবতা বিবেচনা করে এ সব প্রদর্শনী হ্যাচারী করেছিল এবং এ সব হ্যাচারী থেকে মানুষ চাহিদার ছেয়ে বেশি উপকার পেয়েছে। এবং সব দিক থেকে সফলছিল। আর এসব হ্যাচারীর আসল উদ্যেশ্য ছিল সাধারন মৎসজীবিদের মাঝে এই ধারনা দিয়ে তারাও যাতে একই পদ্বতিতে পোনা উৎপাদন করতে পারে। আসলেই সরকারের সেই উদ্যেশ্য সফল হয়েছে। এখন কক্সবাজার হ্যাচারীর জেলা বল্লেও ভুল হবে না। বাংলাদেশের সব থেকে বেশি মানসম্মত পোনা এখানেই উৎপাদন হয়। তবে খুব সহসাৎ সেখানে ভিন্ন কোন প্রকল্প নিয়ে আবার চালু হতে পারে।