সমুদ্রে’র বালিয়াড়ী দখল করলে জেল জরিমানা

মাহাবুবুর রহমান: প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ী দখল করলে জেল-জরিমানা দেওয়া হবে। কোনভাবে সমুদ্রের বালিয়াড়ী দখল করা যাবেনা। বাগান করার নামে দখল পক্রিয়া চালানো যাবেনা। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নাজিরারটেক, সমিতি পাড়া ও মোস্তাক পাড়ার সমুদ্রের বালিয়াড়ীতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন, নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট পিএম ইমরুল কায়েশ।
সরেজমিনে গিয়ে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অসাধু লোকজন অবৈধভাবে সমুদ্রের বালিয়াড়ী দখল কর বিক্রি করছে। ঘেরাও দিয়ে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। তৈরী করছে ছোট ছোট বসত ঘর। আর তা বিক্রি করছে। আবার ভাড়াও দিচ্ছে। অনেকে সরকারী খাস জায়গায় ব্যক্তি উদ্যেগে বাগান করার নামে চালাচ্ছে দখল পক্রিয়া। এমনকি এসব দখলবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা বিমানবন্দর সম্প্রসারনের জন্য বরাদ্ধকৃত জায়গা পর্যন্ত।
গোপন সূত্রে জানা যায়, কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় দখলবাজরা প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করে সমুদ্রের বালিয়াড়ী দখল করছে আর বিক্রি করছে। তারা এই অপকর্মকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে।
এদিকে এসব দখলবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন। চলছে ভ্রাম্যমান আদালত। গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। দখলমুক্ত করা হচ্ছে সমুদ্রের বালিয়াড়ী। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের নাজিরারটেক, সমিতি পাড়া ও মোস্তাক পাড়ায় অভিযান চালান নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট পিএম ইমরুল কায়েশ ও শাহরীন ফেরদৌসী। অভিযানে সমুদ্রের বালিয়াড়ীতে গড়ে উঠা ৬ টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরুল কায়েশ জানান, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনের নির্দেশে এ অভিযান চলছে। আর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জনান, কক্সবাজার বিমান বন্দন সম্প্রসারন এলাকায় যেসব স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেসকল লোকজন বিমান বন্দর প্রকল্প অধিগ্রহণের মধ্যে পড়েছে তাদেরকে খুরুশকুল আশ্রয়নে পুর্নবাসন করা হবে।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন, কক্সবাজার আনসার ব্যাটালিয়ান নায়েক মোহাম্মদ আইনুল হকের নেতৃত্বে একদল আনসার সদস্য ও কক্সবাজার সদর থানার এসআই কুতুব উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য।