একাত্তরলাইভডেস্ক: আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছে। এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সভাপতি পদে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তা সমর্থন করেন পূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং তা সমর্থন করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক।
পরে নির্বাচন কমিশনার ইউসূফ হোসেন হুমায়ুন আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যথাক্রমে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন। তখন উপস্থিত কাউন্সিলররাও এতে সমর্থন জানান।
এর আগে রোববার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বর্তমান কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়ার পরপরই নির্বাচনী অধিবেশন শুরু হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নতুন এসেছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, আবদুল মান্নান খান, রমেশ চন্দ্র সেন ও পীযূষ ভট্টাচার্য।
এদিকে পুরনোদের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে থাকছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও সাহারা খাতুন।
পুরনো যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছেন ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা আব্দুর রহমান। এ ছাড়া নতুন কমিটিতে কোষাধ্যক্ষ পদে এন এইচ আশিকুর রহমানই থাকছেন ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসনে থাকা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন। এর আগে ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের ত্রয়োদশ জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। পরে ১৭ মে দেশে ফিরে দলের দায়িত্ব নেন তিনি।
এরপর ১৯৮৭, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০২, ২০০৯ এবং ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। আর এবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
সভাপতি শেখ হাসিনা, সম্পাদক কাদের
