খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স,ম, মাহবুব-উল-আলম বলেছেন,জীবনের চুড়ান্ত শিখরে পৌছতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তিনি জেলার শিক্ষার অগ্রগতিতে জেলার পরিষদের ভূমিকার প্রশাংসা করে বলেন, শিক্ষার্থী,শিক্ষক,অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞান বিকশিত সম্ভব নয়। মহল বিশেষকে চাঁদাসহ রাষ্ট্রবিরোধী পথ পরিত্যাক্ত জাতীয় মূল¯্রােত ধারার সাথে মিশে যাওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি করে শুধু নিজে আরাম-আয়াসে জীবন-যাপন করতে পারবেন বটে,কিন্তু জাতীয় জীবনে পিছনে থাকবেন।
তিনি আজ শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে পাঁচ শতাধিক গরীব-মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীর মাঝে ৩০ লাখ টাকা শিক্ষাবৃত্তি ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
খাগড়াছড়ি অফিসার্স কøাব অডিটরিয়ামে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ শিক্ষাবৃত্তির অর্থ ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান.পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী,জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান তলফদার ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চ ুমনি চাকমা।
বক্তব্য রাখেন,খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে,কর্ণেল মনিরুজ্জামান খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্মল কুমার চাকমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: গিয়াস উদ্দিন, সপ্তম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ইয়েন চাকমা ও ৪র্থ শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী রামগড় সরকারী বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মোসামৎ তানিয়া আক্তার।
অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়,ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল কলেজ পর্যায়ে ১৬৫ জন, ডিগ্রী ও অনার্স পর্যায়ে ১২৬ জন, উচ্চ মাধ্যমিক ও টেকনিক্যাল পর্যায়ে ৯৫ জন মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থী ও ২০১৫ অনুষ্ঠিত ৪র্থ শ্রেনী বৃক্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্ত ১১৮ জন এবং ৭ম শ্রেনী বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্ত উত্তীর্ণ ৯১ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
উল্লেখ, জেলা পরিষদ উচ্চ শিক্ষায় বৃত্তি ১৯৯০ সাল থেকে,৪র্থ শ্রেনীর বৃত্তি ২০১১ এবং সপ্তম শ্রেনীর বৃত্তি ২০১৪ সালে চালু করে।