সচিবদের জন্য হচ্ছে বহুতল ভবন

একাত্তরলাইভডেস্ক: প্রাক্কলিত দরের চেয়ে তিন কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা বেশি ব্যয়ে সচিবদের জন্য বি-টাইপের একটি আবাসিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনে প্রতিটি ৩৪৭০ বর্গফুটের মোট ৩৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণে ব্যয় হবে ৭৫কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।কুশলী নির্মাতা লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব পরবর্তী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীর সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের আবাসন সমস্যা লঘবের জন্য ‘ঢাকার ইস্কাটনে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কমকর্তাদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি গত মার্চে একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ২৭৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর বাস্তবায়নকাল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় বেজমেন্টসহ ২০-তলা ৩টি (এ,বি ও সি টাইপের) ভবন নির্মাণ হবে। টাইপ-এ সিনিয়র সচিবদের জন্য ৩৪৯০ বর্গফুট, টাইপ-বি সচিবদের জন্য ৩৪৭০ বর্গফুট এবং টাইপ-সি গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য ৩৪৫৫ বর্গফুটের ৩৮টি ফ্ল্যাটসহ মোট ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের সংস্থান রয়েছে।সূত্র জানায়, এরমধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক টাইপ-বি এর ৩৪৭০ বর্গফুট আয়তনের ৩৮টি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ২০-তলা ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি প্যাকেজে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এ দরপত্রটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের রেইট সিডিউল- ২০১৪ অনুযায়ী ৭২ কোটি চার লাখ ২২ হাজার টাকা দাপ্তরিক প্রাক্কলন করা হয়। প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপিতে বিবেচ্য কাজের জন্য ৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা সংস্থান রয়েছে।সূত্র জানায়, আলোচ্য ভবন নির্মাণ কাজের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) গত এপ্রিলে দরপত্র আহ্বান করে। এতে ১০টি দরপত্র বিক্রি হলেও ৪টি দরপত্র দাখিল করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে ৪টি দরপত্রই রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রে কুলশী নির্মাতা লিমিটেড ৭৫ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ ঊর্ধ্বদর উল্লেখ করে প্রথম সর্বনিন্ম দরদাতা হয়। অন্যদের মধ্যে মেসার্স জামাল অ্যান্ড কোম্পানি ৭৭ কোটি ১৮ লাখ ২৯ হাজার টাকা দর উল্লেখ করে দ্বিতীয় সর্বনিন্ম দরদাতা, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ৭৭ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা উল্লেখ করে তৃতীয় সর্বনিন্ম দরদাতা এবং নূরানী কন্সট্রাকশন্স লিমিটেড ৭৭ কোটি ৫৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা দর উল্লেখ করে চতুর্থ সর্বনিন্ম দরদাতা হয়।সূত্র জানায়, দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাজটি জটিল প্রকৃতির বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ এবং এর বাস্তবায়নকাল ৩০ (ত্রিশ) মাস। বর্ণিত কাজের দাপ্তরিক প্রাক্কলন ২০১৪ সালের দর তফসিল অনুযায়ী প্রণীত। দর তফসিল প্রণীত হওয়ার পর ইতোমধ্যে আড়াই বছরের বেশি অতিবাহিত হয়েছে। উপরন্তু আলোচ্য দরপত্রে মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় বাজার মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে একক মূল্য বৃদ্ধির কোন সুযোগ নেই। এ অবস্থায় দীর্ঘ সময়ব্যাপী কাজ বাস্তবায়নের ফলে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি হলেও আলোচ্য ক্রয় প্রস্তাবের দরপত্রভুক্ত আইটেমসমূহ মূল্য বৃদ্ধিজনিত ব্যয় বৃদ্ধির সুয়োগ নেই। এ বিবেচনায় প্রস্তাবিত দরপত্রের মধ্যে ১ম সর্বনিন্ম দর অফিসিয়াল প্রাক্কলিত মূল্য অপেক্ষা ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি হলেও কাজের প্রকৃতি ও দীর্ঘ সময় বিবেচনায় বাজার মূল্যের স্বার্থে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) ১ম সর্বনিন্ম দরদাতা কুশলী নির্মাতা লিমিটেডকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করেছে।