অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আইপিওর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ৭০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায় ওষুধ খাতের কোম্পানি পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস।উত্তোলিত মূলধন ব্যবসা সম্প্রসারণের কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি।রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বল রুমে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় এজন্য আইপিও রোড শো করা হবে। কোম্পানির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।জানা গেছে, কোম্পানির এই রোড শোতে অংশ নেবে মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলারস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, রিকগনাইজ পেনশন অ্যান্ড প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং কমিশনের অনুমোদিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।কোম্পানিটিকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড। রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড। ইস্যু ম্যানেজার সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থের ৪৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে সলিড ওষুধ (ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ইত্যাদি) তৈরির যন্ত্রপাতি আমদানিতে। এ ছাড়া ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যয় করা হবে ২৩ কোটি টাকা। ১৯৮৩ সালে ডায়াগনস্টিক সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে পপুলার গ্রুপ। এরপর ২০০৫ সালে ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে যাত্রা শুরু করে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস। এরপর ২০০৬ সালে ওষুধ রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি টাকা। ৩০ জুন সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯৬ পয়সা। এ সময় পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১২ পয়সা। সর্বশেষ তিন বছরে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পপুলার ফার্মার কর্মকর্তারা।কোম্পানির পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে এখন ওষুধ শিল্পের বাজার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রায় ২ শতাংশ বাজার পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের দখলে।তিনি জানান, এক সময় দেশের ওষুধের চাহিদার বড় অংশ আমদানি করা হতো। এখন চাহিদার ৯৭ ভাগ ওষুধই দেশে উৎপাদন হয়।
শেয়ারবাজারে আসতে পপুলার ফার্মার রোড শো সন্ধ্যায়
October 24, 2016