আরিফুল গণি লিমন সিরাজগঞ্জ
আওয়ামীলীগের ২০তম সম্মেলন ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ পূণর্উল্লেখ করে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন- দলের দুর্দিনের কান্ডারী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই সম্মেলনে সভানেত্রী হবেন। তাঁর কোন বিকল্প নেই। এই সম্মেলনকে সফল করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে, সেই নেতৃত্বই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। মোহাম্মদ নাসিম তত্বাবধায়ক সরকার এদেশে এখন ডেড ইস্যুতে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বলেছেন-২০১৯ সালের নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে। এর কোন বিকল্প নেই। সেই নির্বাচনে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকেও তিনি অংশ নিতে আহবান । তিনি শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দলীয় এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
জেরা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে দলের এই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সিরাজুল ইসলাম খান, আবু ইউসুফ সূর্য্য, কেএম হোসেন আলী হাসান, বিমল কুমার দাস, মোস্তফা কামাল খান, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, আব্দুস সামাদ তালুকদার ও আব্দুল বারী সেখ প্রমুখ।মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন। লাখ লাখ নেতাকর্মীর প্রাণের সংগঠন। এই সংগঠনের জাতীয় সম্মেলন যে কোন মূল্যে সফল করা হবে। সম্মেলন সফল করার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি কাজ চলছে। নাসিম বলেন, শুধু সম্মেলন সফল করা নয়, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের যে নতুন কমিটি নেতৃত্বে আসবে সেই নেতৃত্বের হাত ধরে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জয়ী হবে। আগামী ২০১৯ সালের যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনসহ এ সরকারের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবারের সম্মেলন অন্যান্য সম্মেলনের চেয়ে আলাদা এবং গুরুত্বপূর্ণ।জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির নেত্রী খালেদা জিয়ার দলকে এদেশের মানুষ এ দেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে এবং আর কোনদিন ভোট দিবে না মন্তব্য করে নাসিম বলেছেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যত অন্ধকার। নিজের কর্মীরাই তাকে এখন আর চেনে না। ভাড়া কর্মী দিয়ে রাজনীতি করায় আগামীতে সে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। খালেদা জিয়াকে সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহবান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন প্রতিহতের নামে বিএনপি জামাত নিরীহ মানুষ খুন করেছে, জ্বালাও-পোড়াও করে জনগনের জানমালের ক্ষতিসাধন করেছেন। আর এ কারণেই জনগন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।বর্ধিত জনসংখ্যার এই দেশে সীমিত সম্পদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পুরন করে বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন। এটি বাংলাদেশের মানুষের গৌরবের এবং গর্বের। রাতে তিনি সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসবে যোগ দিয়ে মন্ডব পরিদর্শন করেন।সেখানে তিনি আওয়ামীলীগ সহ ১৪ দলের নেতাকর্মীদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দেশে সার্বজনীন দুর্ৃেগাৎসব যেন শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হয় সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন। তিনি বলেছেন- এদেশে বার বার স্বৈরশাসকেরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনী মোস্তাক ও জেনারেল জিয়া ক্ষমতা দখল করে ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাস্প ছড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওযামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্ভব হযেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সনাতন ধর্মালম্বী সহ সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুযোগ পেয়েছে।