শীর্ষ কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে অস্থির কক্সবাজারের প্রাথমিক শিক্ষা

মাহাবুবুর রহমান: কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মধ্যে চরম দন্ধ সৃস্টি হয়েছে। একই দপ্তরে থাকলেও দু জন এখন দুমেরুতে অবস্থান করছে। র্শীষ এ দু কর্মকর্তার মাঝে দন্ধের কারনে বিপাকে পড়েছে সংশ্লিষ্ঠ্য কর্মকর্তারা বিশেষ করে সাধারন শিক্ষকরা। তাদের দাবী আগে বিষয় টি শুধু দপ্তরের মধ্যে সিমাবন্ধ থাকলেও বর্তমানে সেটা বহুদূর এগিয়েছে। সম্প্রতী একে অপরের বিরদ্বে বিভিন্ উর্ধতন দপ্তরে নামে বেনামে অভিযোগ পাঠিয়ে আরো কাদাছুড়াছুড়ি বাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। এতে পুরু জেলার প্রাথমিক শিক্ষার প্রশাসনিক কাজে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সাধারন শিক্ষকরা।
কক্সবাজার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান ও একই দপ্তরে কর্মরত সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল আজম একে অপরের বিরুদ্বে দন্ধ এখন প্রকাশ্য রুপ নিয়েছে। আগে তাদের মধ্যে দন্ধ কথায় কাজে থাকলেও বর্তমানে সেটি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে একজন একটি সিন্ধান্ত দিলে অন্যজন আরেক টি সিন্ধান্ত দেয় এতে আমাদের কাজ করতে চরম সমস্যায় পড়তে হতো। সেটা অনেক আগে থেকে চলে আসছে তবে কি কারনে দন্ধের শুরু সেটা কেউ বলতে না পারলেও ধারনা করা হচ্ছে ক্ষমতার দন্ধ এর সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন নিয়োগ আর সমন্নয় বদলীর ব্যাপারে। সদর ও রামু উপজেলা শিক্ষা অফিসের ২ কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করে বলেন এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার মাঝে দন্ধ চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে সেটা আমরা উপলদ্বি করতে পারলেও মুখে কিছু বলিনি। তবে এখন সেটা মারাত্বক আকার ধারন করেছে একে অপরের চেহারা দেখা দেখিও বন্ধ বলে মনে হয়। এতে আমরা খুবই সমস্যায় পড়েছি কারন আমাদের সব প্রশাসনিক কাজ সবার সমন্নয়ে করতে হয়। এখন অনেক প্রয়োজনিয় ফাইল ডিপিও অফিসে গেলে সেটা নিয়ে আমরা বেকায়দায় পড়ি এক জন বলে এক অন্যজন বলে আরেক। তাদের দাবী অতিতে কো দিন এধরনের কাজ আমরা দেখি নি কর্মকর্তাদের মাঝে সমস্যা হলে আমরা সাধারন কর্মকর্তা বা শিক্ষকরা ক্ষতি গ্রস্থ হয় একই সাথে একটি ষড়যন্ত্রকারী পক্ষ লাভবান হয়। এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে এডিপিও শহিদুল আজমের বিরুদ্বে শহরের টেকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল হক এবং খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জাবের স্বাক্ষরিক দুটি আলাদা অভিযোগ করে। পরে সে বিষয়ে গত সপ্তাহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা সাইফুল ইসলাম মজুমদার তদন্ত করে সেখানে দুই প্রধান শিক্ষকই লিখিত ভাবে বলেছে তারা এসব অভিযোগ বিষয়ে কিছুই জানে না। কেউ তাদের নাম ব্যবহার করে স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া অভিযোগ করেছে। আর একই তদন্তে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে সেখানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষার বিরুদ্বে উল্টে বিষদ অনিয়মের অভিযোগ করেছেন তিনি।এ ব্যাপারে শহরের টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল হক বলেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্বে দেওয়া অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা, আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আমার মতে সেখানে সে সমস্ত অভিযোগের কথা বলা হয়েছে সে গুলো অফিসের বাইরে কারো জানা থাকার কথা নয় তাই ভেতরের কেউ এ ধরনের কাজ করতে পারে। তিনি বলেন আমরা সাধারন শিক্ষক আমাদের নিয়ে এসব জঘন্ন কাজ না করলেই আমরা খুশি।একই ভাবে খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাবের বলেন আমরা তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়েছি আমরা অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানি না। এটা আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ প্রতারনা করেছে। এদিকে একই অভিযোগ দূর্নীতি দমন কমিশন সহ আরো কয়েক টি দপ্তরেও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্বেও বিভিন্ন অভিযোগ ইতি মধ্যে অনেক দপ্তরের পৌছেছে। সংশ্লিষ্ঠ্যদের দাবী এগুলো দুই কর্মকর্তাদের নিজস্ব কিছু লোকরাই করছে। এর পেছনে তারা নিজেরাই জড়িত। এতে করে সে সব দালাল শ্রেনীর লোকজনই বেশি উপকৃত হচ্ছে আর বদনাম হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল আজম বলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ইন্দনে আমার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এর ছেয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা। আপনারা খোজ খর নেন কে  কি করছে ?
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান বলেন আমি কোন দন্ধের ব্যাপারে জানি না। যার কাছ সে করছে আমি কোন দন্ধ বা বিরুদের বিষয়ে জানি না।