শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত প্রতিবেদন জমায় সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কিনা সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন আগামী ১৯ জানুয়ারি দাখিল করতে হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার দিন ঠিক করে এ আদেশ দেয়।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু  বলেন, “প্রতিবেদনটি দেওয়ার দায়িত্ব ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের। তিনি চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে আছেন।
“এরই মধ্যে ৭-৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এসব বিষয় উল্লেখ করে দুই সপ্তাহের সময় আবেদন করেছিলাম। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে দুই সপ্তাহের সময়ই দিয়েছেন।”
নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে বিদ্যারলয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।
ওই ঘটনার ভিডিওতে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ বসের নির্দেশ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্যে সেলিম ওসমানকে দেখা গেলে তার শাস্তির দাবিও উঠে।
ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশনায় পুলিশ প্রতিবেদন দিলেও সেলিম ওসমানকে ছাড় দিয়ে দায়সারা ওই প্রতিবেদন প্রত্যাকখ্যা।ন করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে আগামী ৩ নভেম্বরে মধ্যে হাই কোর্টে প্রতিবেদনও দাখিল করতে বলা হয়।
ওই দিন আদালত আদেশে বলে, “কানধরে উঠবসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য।”