শাহ পরীর দ্বীপে বর্ষার আগেই বাধ নির্মাণ করা হবে : পানি সম্পদ মন্ত্রী

মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার : গত মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে টেকনাফ উপকূল অতিক্রম করার সময় বিধ্বস্ত করে গেছে সৌন্দর্যের লীলাভূমি সর্ব দক্ষিণের ভূখন্ড শাহপরীর দ্বীপ। এ দ্বীপে ১০ হাজার মানুষকে ঘরছাড়া করেছে মোরা। তারই সুত্রে ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের বিধ্বস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, দ্বীপের মানুষের দূর্ভোগ আমি বুঝতে পেরেছি। আপনারা সবাই দৈর্য্য সহকারে থাকুন সরকারের পক্ষ থেকে সকল ক্ষতিগ্রস্থদের সহতায় দেওয়া হচ্ছে এবং আরো দেওয়া হবে। চলতি বছরের বর্ষার আগে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার বেড়ি বাধঁ নির্মান করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন দ্বীপ বাসীকে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর মাধ্যমে এ বাধঁ নির্মান করা হবে। পাশাপাশি আপততে খোলা বিচ ও খাল দিয়ে যেন সাগরের পানি ঢুকতে না পারে এক মাসের মধ্যে দ্রুত সে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। প্রয়োজনে সেখানে যদি জিও টেক ও পাথর দিয়ে পানি ঢুকা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
এসময় তার সঙ্গে ওই মন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, চকরিয়ার সাংসদ মো. ইলিয়াছ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দীক, সহকারি কমিশনার ভুমি জাহিদ ইকবাল, ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। গত বছরে একনেকে শাহপরীর দ্বীপ বেড়ি বাধঁ নির্মানের জন্য ১০৬ কোটি টাকা বরার্দ্দ হয়। গত পাচঁ বছর আগে এ বাধঁ ভেঙ্গে সাগরে তলিয়ে যায়।
সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেন, শাহপরীর দ্বীপ বেড়ি বাধঁ নির্মানের জন্য মন্ত্রী সাহেব দপ্তরের অনেক গেছি। এমনকি বকাও শুনেছি। দ্বীপ বাসীর কথা চিন্তা করে বর্ষার আগে টেকসই বেড়ি বাধঁ করে দেওয়ার দাবি জানান মন্ত্রীর কাছে। বাংলাদেশ সীমান্তে ভালুখালী-টেকনাফ পর্যন্ত যে সড়ক হওয়ার কথা রয়েছে তা যদি হয়, তাহলে সীমান্তে ইয়াবা বন্ধ হয়ে যাবে বলে দাবি বদির।