একাত্তর লাইভ ডেস্ক:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বুধবার সকাল ৭টার দিকে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল শহীদদের স্মরণে গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। শহীদদের স্মরণে বিওগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ছেড়ে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ হোক আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথের পাথেয়। বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের পথ বেয়ে বাংলাদেশ জ্ঞানভিত্তিক, প্রজ্ঞাময় সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হোক, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে-এ প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, ‘জাতির বিবেক হিসেবে খ্যাত আমাদের বুদ্ধিজীবীরা তাদের ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারকে পরামর্শ দেওয়াসহ বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে বিপুল অবদান রাখেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য, বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদারবাহিনী পরিকল্পিতভাবে এ দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। জাতির জন্য এ-এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ আমাদের জাতীয় জীবনে এক কালো অধ্যায়। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ইতোমধ্যে অধিকাংশ শীর্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাকি রায়গুলোও কার্যকর করা হবে। সব মানবতাবিরোধী অপরাধীর শাস্তি কার্যকর করে আমরা জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করব। কোনও ষড়যন্ত্র জাতিকে এ পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।’