রায়পুরায় আ’লীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২০

আসাদুল হক পলাশ, নরসিংদী থেকে : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষে আব্দুল কাদির (৫০) নামে এক জন নিহত ও কমবেশী ২০ ব্যক্তি আহত এবং ২টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। সোমবার সকাল ৯ টায় জেলার রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের সদাগরকান্দী এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ভুট্টো মিয়া (৩৮) নামে এক জনকে মুমর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম এই ঘটনা নিশ্চত করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত খান্নবাড়ীর আওয়ামী লীগ নেতা সামসু গ্র“প ও আব্দুল্লাহ বাড়ীর কবির গ্র“প নামে খ্যাত দুই লাঠিয়াল বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এই দুই গ্র“পের মধ্যে সামসু গ্র“পকে নেতৃত্ব প্রদান করেন আওয়ামী লীগ নেতা মনসুর নামে এক ধনপতি এবং কবির গ্র“পকে নেতৃত্ব দেন ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোমেন সরকার। সোমবার সকাল ৯ টার দিকে কথা কাটাকাটি নিয়ে সামসু গ্র“পের আব্দুল কাদির ও ভুট্টো মিয়াকে ধরে নিয়ে টেটা বিদ্ধ ও কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে উভয় গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আরো কমবেশী ২০ ব্যক্তি আহত হয়।

তাদেরকে পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে নবীনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সদাগরকান্দী গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র আব্দুল কাদির মারা যায়। বাকীদেরকে নবীনগর হাসপাতালে নেয়ার পর মুমর্ষ অবস্থায় একই গ্রামের অলফত আলীর পুত্র ভুট্টো মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীরা নবীনগর হাসপাতালে ও বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে এখনো উভয় গ্র“পের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।