কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কক্সবাজারের রামু উপজেলার পানিরছড়া এলাকায় একটি যাত্রীবাহি বাস উল্টে ৪ জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো অন্তত ২২ জন। নিহতরা হলেন, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পূর্ব ভেওলা এলাকার মৃত কবির আহমদের স্ত্রী নুর নাহার (৫০), কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের মোহাম্মদ কাশেম (৪৫), রাজিয়া সুলতানা (২৫) ও ফারুক হোসেন (২০)। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসে চাপা পড়া অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস মহাসড়কের পানিরছড়া অতিক্রমকালে হঠাৎ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাজিয়া সুলতানা ও ফারুক হোসেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রামুর ১০ পদাতিক ডিভিশনের একদল সেনা সদস্য, এ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারযান নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেনা সদস্যদের তত্ত্বাবধানে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায় কাসেম ও নুরনাহার। আহত ২২ জনকে কক্সবাজার সদর ও রামুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড় আউলিয়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার উত্তম কান্তি মল্লিক (৪৫) ও একই উপজেলার জিরি এলাকার নুসরাত আক্তার (২৬), বরগুনা জেলার আমতলী এলাকার আব্দুল হাকিম (২৫), মো. জালাল (১৭), মো. সাকিব (১৪), সাবের আহমদ (৩৫), ইসহাক উল্লাহ (৩২), জান্নাতুল মাওয়া (৮), মনির আলম (৩৫), রিয়াদ মোস্তফা (৪), আব্দুল জলিল (৩০), সুজন (৩৬), নুরুল আমিন (৬০), আবুল হোসেন (৫০), উম্মে হাবিবা (৮), মুবিনুল হক (৪৮) । তবে আহত অন্যদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সত্যম সরকার বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ১৮ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রয়েছেন ৬ জন। হাসপাতালে আনার আগেই দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে দূর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের কর্ণেল মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুততম সময়ে উদ্ধারকার্যে সহায়তার জন্য সেনা এ্যাম্বুলেন্স, সেনা উদ্ধারযান এবং সেনাসদস্যদের ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়। এই কারনে হতাহতের সংখ্যা অনেক কমেছে।