নিজস্ব প্রতিবেদক : রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদসহ তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা বিকেল ৪টায় এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অপর দুই আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
এরশাদের মামলাটি আগে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। পরে তা ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ১১ জুন মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানি পর্যায়ে ওই আদালতের বিচারক বিব্রত বোধ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন। এর পর এ আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়।
মামলার খালাস পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন— সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান সুলতান মাহমুদ, সাবেক বিমান বাহিনীর সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমদ ।অপর আসামি মুসা পলাতক থাকলেও পরে মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন।