অনলাইন ডেস্ক : এবার কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নির্দেশ ও মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজধানীতে কোচিং চালু রাখার দায়ে দুইটি কোচিং সেন্টারের ৮ জনকে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ৬টি কোচিং সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলে ভালো পাঠদানের অভাব ও সিলেবাস শেষ না করায় শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ও কোচিং সেন্টারে শিক্ষকদের পাঠদান করানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময় সকল কোচিং সেন্টার বন্ধে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চলমান পরীক্ষার মাঝেই রাজধানীতে চলছে কোচিং বাণিজ্য।
রোববার র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
রাজধানীর ফার্মগেটে ম্যাবস ও মবিডিক এবং ঝিগাতলা এলাকায় জয়যাত্রা, নবদিগন্ত, অনন্য ও ব্লেজ নামে ছয়টি কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চলমান দেখতে পায় র্যাব। পরে কোচিং সেন্টারগুলো সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আর সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কাউকে কোচিং সেন্টার চালু রাখতে দেয়া হবে না বলে জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, এই অভিযান পরিচালনা করে দেখলাম যে, আজকে বেশ কিছু কোচিং সেন্টার এই আদেশ অমান্য করে পরিচালনা করছে। আমাদের অভিযান চলবে।
তবে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়ানোর দাবি ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের।