একাত্তরলাইভ ডেস্ক: রাজধানীতে গণপরিবহনে চারদিনের চরম যাত্রী ভোগান্তি শেষে বুধবার সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত ১৫ দিন স্থগিত করা হয়েছে। আগের মতোই সিটিং সাভিংস চালাবার আহ্বান জানানো হয়েছে। আর এই ১৫ দিন বিআরটিএর পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানও বন্ধ থাকবে।
বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটির) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান।
অপরদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ঢাকার গণপরিবহন সঙ্কট লাঘবে বিদেশ থেকে ৪০০ বাস আনার বিষয়ে আগামী মে মাসে সিদ্ধান্ত হবে। বুধবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম কক্সবাজার রুটে সিল্কলাইন ট্র্যাভেলসের বাস সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এ দিকে বুধবার বিকালে রাজধানীর তেজগাঁও এলেনবাড়ি বিআরটিএর প্রধান কার্যালয় বাস মালিক সমিতির সঙ্গে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিআরটিএর চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর গত কয়েকদিনে গণপরিবহনে সাধারণ মানুষকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, সে কারণেই ১৫ দিনের জন্য সিটিং সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই ১৫ দিনের মধ্যে পরিবহন খাতে বিরাজমান পরিস্থিতি নিরসনে কী করা যায়, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আরো জানান, যাত্রীরা যদি চায়, তাহলে সিটিং সার্ভিসকে একটি আইনি কাঠামোয় আনার পরিকল্পনা নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান বলেন, আগামী ১৫ দিন সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ থাকবে। তারপর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী সব বাসের ভাড়া নিতে হবে । তা না করলে সড়কে কার্যরত ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা নেবে বলে।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, কোনো অবস্থাতেই ভাড়ার ব্যাপারে আপস করবো না। সরকারি হিসাবে কিলোমিটার প্রতি যা ভাড়া আছে, তা নিতে হবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, একটা উদ্দেশ্য নিয়েই মালিকরা সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেছিলেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের সে উদ্যোগে সহায়তা করেছি। তবে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তাদের গাড়িতে উঠতে সমস্যা হচ্ছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে রাজধানীর চলমান পরিবহন সঙ্কট ও যাত্রীদের ভোগান্তি এবং বাস ও মিনিবাস চলাচলের নিয়মনীতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিআরটির চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন. সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানসহ পরিবহন মালিক ও মালিক সমিতির নেতারা।