নিজস্ব প্রতিবেদক:
মারজান ও সাদ্দামের মৃত্যুতে গুলশান হামলার তদন্তে কোনো বাধা আসবে না। তাছাড়া জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যেখানেই তথ্য পাওয়া যাবে সেখানেই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সন্ত্রাসবাদের ওপর এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, দুই জঙ্গির মৃত্যুতে গুলশান হামলার তদন্তে কোনো বাধা আসবে না। সরকারের কাছে সব ধরনের তথ্য রয়েছে। আর কোনো তথ্যের দরকার নেই। গুলশান হামলার সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার হয়েছে না হয় নিহত হয়েছে। আর বাকিদের ধরতে জোরালো অভিযান চালানো হবে।
জঙ্গিদের অর্থায়ন সম্পর্কে শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিদের অর্থ জোগান দেশ-বিদেশসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। কিছু টাকা আসে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মাধ্যমে। এ ছাড়া মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন হাত হয়ে তাদের কাছে অনেক টাকা আসত। জঙ্গিরা হলো হাইলি মোটিভেটেড জঙ্গি। তারা যেখানেই যায় সেখানেই চায় তাদের অনুসারী তৈরি করতে।
গতকাল শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে নিহত দুই জঙ্গি মারজান ও সাদ্দাম সম্পর্কে পুলিশ প্রধান বলেন, তাঁরা দুজনই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গুলশানের হামলায় যে কয়জন মাস্টারমাইন্ড ও পরিকল্পনাকারী ছিল তাদের মধ্যে মারজান অন্যতম। সে ছিল অপারেশনাল কমান্ডার এবং দুর্ধর্ষ প্রকৃতির জঙ্গি। আর সাদ্দাম হল নর্থ বেঙ্গলের দুর্ধর্ষ জঙ্গি। উত্তরবঙ্গে যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলোর সঙ্গে সাদ্দাম জড়িত ছিল। তার নামে পাঁচটি মামলার অভিযোগপত্র রয়েছে। আরো পাঁচটি মামলা তদন্তাধীন আছে। মারজান ও সাদ্দাম নিহত হলেও গুলশান হামলা মামলার অগ্রগতি হচ্ছে। কারণ মারজান ও সাদ্দাম কোথায় কী করেছে সব ধরনের তথ্যই আছে আমাদের কাছে।
নব্য জেএমবির মেজর জিয়ার বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব সদস্যই তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
দুই দিনব্যাপী টেরোরিজম ইন দ্যা ওয়েব অব ইসলামিক স্টেট শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডসর রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারিটা কুলোনার। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। ৮ জানুয়ারি সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। সম্মেলনে ১৬ টি সেশনে ৪৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।