ময়মনসিংহে চাল নিয়ে চাল বাজি , মৃত ব্যক্তির নামেও কার্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহে হত দরিদ্্রদের মাঝে কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়ম করার জন্য সদর উপজেলার বিভিন্ন চেয়ারম্যান কার্ড অনুমোদন করে তাদের হাতে পৌছে না দিয়ে নিজের লোক দিয়ে চাউল উত্তোলন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেকে আবার মৃত ব্যক্তির নামেও কার্ড বরাদ্দ দিয়েছেন।এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রকাশ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ও খাগডহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ডিলারদের বিরুদ্ধে চাউল বিতরণের শুরু থেকেই অনিয়মের অভিযোগ শুরু হয়। দায়িত্বশীল কর্মকর্তার রহস্যজনক ভূমিকায় ও স্থানীয়দের অভিযোগের প্রতিকার না পাওয়ায় জনগন ফুসে উঠেছে। পর্যায়ক্রমে এটা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে রূপ নেয়। অপর দিকে দায়িত্বশীল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমন কিছু অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তারা পাঠিয়েছেন। অভিযোগে জানা যায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নে ৬/৭ লোকের নাম ব্যবহার করে কার্ড বরাদ্দ দিয়ে মাল উত্তোলণ করেছেন। এ সকল কার্ডধারীরা ছবি না দেয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি কার্ডে ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে চর গোবিন্দ গ্রামের হত দরিদ্্রদের কার্ড ৩৩২৮ থেকে ৩৩৬০, কল্যাণপুর গ্রামের ৩১৫৮ থেকে ৩২৩০, কিসমত গ্রামের ২৮৮৫ থেকে ২৯৯৩ নং কার্ড গুলো স্ব-স্ব ব্যক্তিরা পায়নি। অথচ দুকিস্তির চাউল উত্তোলন দেখানো হয়েছে। অপর দিকে তারাগাই গ্রামের কার্ড নং ২৯৯৪ থেকে ৩০৭৯ প্রকৃত ব্যক্তিরা কার্ড পায়নি।
এ সকল কার্ড ধারীদের মধ্যে ৩১৬০,৩১৬৩,৩১৮৯, ৩০১৮,৩০৬৮ ও ৩০৭১ নং কার্ড প্রাপ্তিরা মৃত ব্যক্তি বলে অভিযোগকারীরা দাবি করেছেন। এ সকল ব্যক্তিদের নামে যেমনি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তেমনি ১০ টাকা কেজির চাউলও উত্তোলন দেখানো হয়েছে। স্থানীয় ডিলার জানান কার্ড বিতরণের দায়িত্ব চেয়ারম্যানের। চাউল দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে তদারকি অফিসার রয়েছেন। কার্ড গুলো বিতরণে কিছু ত্র“টি থাকায় গত শনিবার তা সংশোধন করার কার রয়েছে।
এক্ষেত্রে তারা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সহায়তা করার কথা রয়েছে। অপরদিকে ভাবখালী ইউনিয়নের কার্ড বিতরণে অনিয়ম ও ডিলারদের চাউল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যান দায় এড়ানোর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। ইতিমধ্যে জনগণের অভিযোগ এক ধাপ তদন্ত হয়েছে। জনগণের অভিযোগ সত্য দাবি করণেও তদন্তকারী টিম দায়সারা রিপোর্ট দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।