মেঘনায় স্বর্নের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় আটক-৫,স্বর্নাংকার উদ্ধার

শাহ আলম শফি ,কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপুর বাজারে ৬ টি জুয়েলারী দোকান ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৫ ডাকাতকে শুক্রবার গভীর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করেছে। শনিবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আরাফাত উদ্দিনের আদালতে পাঠালে আটককৃতরা স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দেয়। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিবি পুলিশ সুত্র জানায়,জেলার মেঘনা উপজেলার রামপুর বাজারে গত ১২ মার্চ গভীর রাতে ২০/২৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ইঞ্জিণ চালিত স্পীডবোট ’এ আসে। পরে তারা বাজারের নৈশ প্রহরী ও কয়েকজন দোকানীকে বেধেঁ অস্ত্রের মুখে জীম্মি করে একে একে বাজারের মামা-ভাগিনা স্বর্ণ শিল্পালয়, রাজলক্ষ্মী স্বর্ণ শিল্পালয়, অন্তু স্বর্ণ শিল্পালয়, স্বপ্না স্বর্ণ শিল্পালয়, রেখা স্বর্ণ শিল্পালয় ও

পাপড়ী অলংকার নিকেতনসহ ৬টি দোকানের তালা ভেঙে স্বর্ণ-রৌপ্য অলংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ২২ লাখ ৫১ হাজার টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নেয়। পরদিন ১৩ মার্চ এব্যাপারে মেঘনা থানায় মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তাস্তরিত হয়। ২৮ এপ্রিল শুক্রবার রাতে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এসআই সহিদুল ইসলাম ও এসআই শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে দাউদকান্দি,তিতাস ও মেঘনা উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। এসময় ডাকাতির সাথে জড়িত বিদু দাস

(২৫),ভুজি ওরফে প্রদীপ (২৩),সুমন চন্দ্র দাস (২০)চন্দন দাস (২০) ও বাবুল ওরফে সেলিম (২৭) কে আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় লুণ্ঠিত কিছু স্বর্নালংকার। গতকাল শনিবার তাদের আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাদের স্বীকারোক্তী শেষে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মনজুর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আরো জানান,আটককৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অন্য সহযোগীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।