এম এস শফি , কুমিল্লাপ্রতিনিধি
উপবৃত্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলা নামে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করে প্রিন্সিপাল টাকা আত্মসাৎ করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বলে এলাকাবাসী জানায়।
ছাত্রের অভিভাবক শামীম আহাম্মেদ রবিবার অভিযোগ করেছেন মুরাদনগর মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, অনুলিপি দিয়েছেন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন(এফসিএ), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইচ চেয়ারম্যান, পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি এডিসি (রাজস্ব),কুমিল্লা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার বরাবর অভিযোগটি সরজমিনের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরুধ নেওয়া অনুরোধ জানান। মুরাদনগর উপজেলা পরমতলা ইদ্রিসিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল হাই গত রবিবার মাদ্রাসার ১৭জন ষষ্ট শ্রেনী ৩শ’ টাকা, ০৭ জন ৭ম শ্রেণী ৮ম শ্রেনী ৮জন ও ১০জন নবম ছাত্রছাত্রী কাছ থেকে ১শ’টাকা করে উপবৃত্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলার নামে রশিদ বই দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা’র বরাবর।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা অভিযোগটি হাতে পেয়ে তাৎক্ষনিক সরজমিনে পরমতলা ইদ্রিসিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগটি সত্যতা প্রমানিত পেয়েছেন তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। ছাত্র ফয়সালসহ নাম না প্রকাশের শর্তে ছাত্রছাত্রীরা আরো জানায়, প্রিন্সিপাল হুজুর ছাত্রছাত্রীদের কোন প্রকার রশিদ ছাড়াই ৩শ’টাকা করে নিয়েছেন। আমরা প্রিন্সিপাল হুজুরকে কি জন্য ৩শ’টাকা দিবো জিজ্ঞাস করলে তিনি আমাদের কে জানান উপবৃত্তির ব্যাংক একাউন্ট খুলবো এজন্য টাকা দিতে হবে।মাদ্রাসার কমিটির সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম খুরশেদ জানায়, প্রতিবছর আমাদের মাদ্রাসার প্রথম শ্রেনী থেকে ফাজিল পর্যন্ত সকল ছাত্রছাত্রীদের বই, কাগজ, কলম আমি ফ্রি দিয়ে থাকি। প্রতিমাসে আড়াই লাখ টাকা বিভিন্ন উন্নায়নের জন্য দিয়ে থাকি মাদ্রাসায়। প্রিন্সিপাল মাদ্রাসা উন্নায়নের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করবেন কেন? এব্যাপারে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুল হাই সাংবাদিকদের জানায়, আমি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা রশিদ বইয়ের মাধ্যেমে মাদ্রাসার উন্নায়নের নামে উত্তোলন করেছি। আমি উপবৃত্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলার নামে কোন টাকা উত্তোলন করি নাই। প্রিন্সিপাল আরো জানায়, আমার আর তিন বছর চাকুরীর বয়স রয়েছে। চাকুরীর সময় ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা আমার বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসে অভিযোগ দিয়ে আমাকে কলঙ্কে দাগ দিয়েছেন।